মাছ ধরতে ড্রেনে নামে তিন শিশু-কিশোর। ড্রেনের মধ্যে হাঁটতে হাঁটতে অন্ধকারে পথ হারিয়ে ফেলে তারা। সেখানেই ‘বাঁচাও বাঁচাও’ চিৎকার শুরু করে। এক পর্যায়ে রাস্তার পানি ড্রেনে নামার একটি ফোকর দিয়ে উঁকি দিয়ে চিৎকার করতে থাকে এক শিশু।
সেখানে জড়ো হয় অনেকে। তাদের মধ্যে খালিদ হাসান নামের একজন ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’-এ ফোন দিয়ে বিষয়টি জানান।
যশোরের কোতোয়ালি থানাধীন তেঁতুলতলা রেলগেটে গতকাল মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে। ৯৯৯-এ ফোন করে খালিদ জানান, ড্রেনের ভিতর কয়েকটি শিশু আটকা পড়েছে। তিনি শিশুদের কান্নাকাটি ও বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার শুনতে পাচ্ছিলেন। ড্রেনের ছোট্ট একটি ফোকর দিয়ে তিনি কান্নারত এক শিশুকে দেখতে পেয়েছেন। তার থেকে জানতে পেরেছেন ড্রেনের ভেতরে তার সঙ্গে আরো দুই শিশু রয়েছে।
ঘটনা শুনে ৯৯৯ থেকে জানানো হয় ফায়ার সার্ভিসে। সংবাদ পেয়ে যশোর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের একটি উদ্ধারকারী দল দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। ড্রেনে নামার কোনো পথ না থাকায় ঢালাই করা ড্রেনের কংক্রিট স্ল্যাব কেটে ভেতরে নামে উদ্ধারকারী দল। সেখান বিষাক্ত গ্যাস থাকার ঝুঁকি ছিল। প্রথমে এক শিশুকে উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। পরে ড্রেনের ভেতর অর্ধকিলোমিটার দূর থেকে আরো দুই শিশুকে জীবিত উদ্ধার করেন তারা।
উদ্ধারকৃতরা হলো নিরব, হৃদয় ও নয়ন। তারা ওই এলাকার বাসিন্দা। ড্রেনটির উচ্চতা সাত ফুট, প্রস্থ তিন ফুট এবং দৈর্ঘ্য দুই কিলোমিটার বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’-এর ফেসবুক পেজে বিষয়টি জানিয়েছেন পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার।