চট্টগ্রাম থেকে বরিশাল বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ নিয়ে আসেন বাবুগঞ্জের সন্তান ত্বকি তাহমিদ খান। বুধবার (৮ জুন) বৈমানিক হওয়ার মিশনের পিপিএল চূড়ান্ত পরীক্ষায় প্রশিক্ষণ উড়োজাহাজ নিয়ে আসেন ত্বকি। বিমানবন্দরে নেমে বাবা-মাকে কদমবুচি করে বিমান নিয়ে ২০ মিনিট এর মধ্যে ফ্লাই করে আবার ঢাকায় ফিরে যান তিনি।
ত্বকি তাহমিদ খান বাবুগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাশা ইউনিয়নের চাঁদপাশা হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ তাহমিনা আক্তার ও কৃষি সম্প্রসারণের বরিশাল অঞ্চল (খামার বাড়ি) অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পরিচালক সাইনুর আজম খানের ছোট ছেলে।
অধ্যক্ষ তাহমিনা আক্তার বলেন, ‘ছোট ছেলে রাজধানীর উত্তরায় বেসরকারি আরিরাং অ্যাভিয়েশন লিমিটেডের ছাত্র। বুধবার বৈমানিক হওয়ায় পিপিএল পরীক্ষার চূড়ান্ত পর্ব ছিল তাঁর। এ জন্য চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে প্রশিক্ষণ উড়োজাহাজ নিয়ে বরিশাল বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সে আমাদের সঙ্গে সালাম বিনিময় করে। পরে বরিশাল বিমানবন্দর থেকে ঢাকা বিমানবন্দরে গিয়ে বিমান কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেয়।’
তিনি আরও জানান, বরিশাল বিমানবন্দরে ১০ মিনিট অবস্থানের কথা জানিয়ে তাঁদের আসতে বলেন ত্বকি। তাঁরা আসার পর বেলা ১১টায় বরিশাল বিমানবন্দরে অবতরণ করেন ত্বকি। বিমানবন্দরের একটি সূত্র জানায়, ঘাসফড়িং নামের একটি প্রশিক্ষণ উড়োজাহাজ অবতরণ করে। পরে ঢাকায় ফিরে গেছে।
বরিশাল এয়ারপোর্টে ল্যান্ডিং করা যাত্রীবাহী এয়ার বেঙ্গলের যাত্রী ওঠা নামার কারণে তাহমিদ খান তার বিমান নিয়ে রানওয়েতে ল্যান্ড করার জন্য কর্তৃপক্ষের অনুমতি চেয়ে আকাশে রাউন্ড দিচ্ছিলেন, পরে বরিশাল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে অবতরণ করেন।
বরিশাল বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক আব্দুর রহিম জানান, আরিরাং অ্যাভিয়েশন কোম্পানির একটি প্রশিক্ষণ বিমান নিয়ে তিনি অবতরণ করেছিলেন। পরে গন্তব্যে ফিরে গেছেন। প্রশিক্ষণের জন্যই তিনি অবতরণ করেছিলেন।