দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। অভিনয় দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের দর্শকদের মন জয় করেছেন তিনি। বয়স ৫০ ছুঁই ছুঁই করলেও তার বিন্দুমাত্র ছাপ নেই এই অভিনেত্রীর রুপে। বরং দিনকে দিন আরও গ্ল্যামার ছড়িয়ে ভক্ত-দর্শকদের মাত করে রেখেছেন জয়া।
তবে হঠাৎ করেই জয়ার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কৌতূহলী হয়ে উঠেছেন সিনেপ্রেমীরা। বাংলাদেশ ও কলকাতার- তার দুই বাংলার অনুরাগীরাই জানতে চান, কী কারণে বিচ্ছেদের পথে হাঁটলেন জয়া ও ফয়সাল।
জয়ার প্রথম স্বামী মডেল-অভিনেতা ফয়সাল মাসুদ। তাকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন জয়া। জমিদার পরিবারের ছেলে ফয়সাল ছিলেন বিত্তবান। জয়ার সঙ্গে তার দেখা হয়েছিল ১৯৯৮ সালে। সেই প্রথম দেখার কথা ফয়সাল বলেছিলেন এক সাক্ষাৎকারে। শুরুটা হয়েছিল তিক্ততা দিয়ে। এরপর সে গল্পটা রূপ নেয় ভালোবাসায়।
ওই সময় ফয়সাল-জয়া দুজনেই বলেছিলেন, একটি বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ে অংশ নিয়েছিলেন তারা। সেখানেই তাদের প্রথম দেখা। এক ঘণ্টা দেরি করে আসেন ফয়সাল। মেকআপ নেওয়ার পর অপেক্ষা করতে হয়েছিল জয়াকে। রেগে গিয়ে ফয়সালের ওপর ক্ষোভ ঝাড়েন জয়া, শুনিয়েছিলেন নানা তিক্ত কথা! এই রাগই আবার অনুরাগে বদলাতে বেশি সময় নেয়নি। ফোনে কথা বলতে বলতেই একে অপরের গভীর প্রেমে পড়েন। প্রেমের পরিণতি টানেন বিয়ের মাধ্যমে। এরপর দুজনে সংসার করেন ১৩ বছর। সেসব পুরোনো গল্পই আবার নতুন করে উঠে এসেছে কলকাতার জনপ্রিয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকায়।
১৩ বছরের সংসার কেন ভাঙল তা এতদিন রহস্যাবৃতই ছিল। এতদিন পর তা ফাঁস করলেন ফয়সাল নিজেই। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, বিয়ের পরেও একসঙ্গে কাজ করছিলেন জয়া-ফয়সাল। জনপ্রিয় তারকা জুটিও হয়ে উঠেছিলেন তারা। এরপরই ছন্দপতন।
ফয়সালের তুলনায় বাড়তে থাকে জয়ার জনপ্রিয়তা। আর এই সাফল্যই হয়তো তাদের দাম্পত্যে ফাটল ধরিয়ে দেয়। বাড়তে থাকে তাদের মনোমালিন্য। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ক্রমশই দূরত্বও বাড়তেই থাকে। ফয়সাল চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু সেই দুরত্ব আর কমাতে পারেনি। অবশেষে দুজনের পথ দু’দিকে বয়ে যায়। সিদ্ধান্ত হয় বিচ্ছেদের।
২০১১ সালে পাকাপাকিভাবে আলাদা হয়ে যান জয়া-ফয়সাল। তবে বিচ্ছেদের বিষয়ে জয়ার পক্ষ থেকে এখনো কোনো বক্তব্য আসেনি।