নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির হার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনাভাইরাসে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা, তার ওপর ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধ। বর্তমান যে অবস্থা, এই যুদ্ধের কারণে অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় উন্নত দেশগুলো হিমশিম খাচ্ছে, উন্নত দেশে মুদ্রাস্ফীতি এবং দ্রব্যমূল্য বেড়ে গেছে। ইংল্যান্ডের মানুষ যারা তিন বেলা খেত, তারা এখন এক বেলা খাবার কমাতে বাধ্য হচ্ছেন।
ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (৭ জুন) আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আমরা ভর্তুকি দিয়ে দিয়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছি। প্রণোদনা প্যাকেজ দিয়েছি। আমাদের রিজার্ভ যে ৪৮ বিলিয়নে তুলেছিলাম, সেই রিজার্ভের টাকা ভেঙে ভেঙে বিদ্যুতের জন্য, গ্যাসের জন্য, কৃষির জন্য, স্বাস্থ্যের জন্য ভর্তুকি এবং সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি। এভাবে কোনো দেশ কিন্তু করেনি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইংল্যান্ডের মানুষ যারা তিন বেলা খেত, তারা এক বেলা খাবার বাদ দিয়েছে। তাদের বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারবা না, সীমিত আকারে ব্যবহার করো। ভোজ্যতেল এক লিটারের বেশি কেউ কিনতে পারবে না। সুপার মার্কেট থেকে নিষেধাজ্ঞা দেয়া আছে। ইউরোপের কোথাও কোথাও ১৭ শতাংশ পর্যন্ত মুদ্রাস্ফীতি এবং দ্রব্যমূল্য বেড়ে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমান যে অবস্থা, একদিকে করোনাভাইরাসে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা, তার ওপর ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধ। এই যুদ্ধের কারণে আজকে যে অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় উন্নত দেশগুলো হিমশিম খাচ্ছে, উন্নত দেশে মুদ্রাস্ফীতি…লন্ডনে, ইংল্যান্ডে ১০ ভাগে উঠে গেছে। আমেরিকায় যেখানে এক থেকে দেড় ভাগের বেশি মুদ্রাস্ফীতি থাকত না, সেখানেও ১০ ভাগের ওপরে। প্রত্যেকটা জিনিসের দাম বেড়ে গেছে।’
দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ‘তারপরও যদি কেউ গোলমাল করার চেষ্টা করে, তাহলে এ দেশটা যদি একেবারে স্থবির হয়ে যায়, সাধারণ মানুষের কী অবস্থা হবে? তবে একটা কথা বলতে পারি, আমাদের গ্রামের মানুষের অবস্থা এখনও অনেক ভালো আছে। সেটা যেন ভালো থাকে সেদিকে আমরা বিশেষ দৃষ্টি দিচ্ছি।’
রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের ইঙ্গিত দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবাইকে সঞ্চয় করতে হবে। উৎপাদনও বাড়াতে হবে। এ অবস্থায় অশান্তি করলে দেশের ক্ষতি নিজেরও ক্ষতি। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বৃদ্ধির কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সামনে আরও দাম বৃদ্ধির শঙ্কা রয়েছে।