বাংলাদেশের যে গ্রাম দেখতে এসেছিলেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ

সিংহাসনে বসার ৭০ বছর পূর্তি হয়েছে বৃটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের। ১৯৫৩ সালের ২ জুন তার রাজ্যাভিষেক হয়। এই সত্তর বছরে বিশ্বের নানা প্রান্তে গিয়েছেন রানি। এসেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশেও।

১৯৮৩ সালের নভেম্বর মাসে তৎকালীন সামরিক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের শাসনামলে চার দিনের সফরে বাংলাদেশে এসেছিলেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। এটিই স্বাধীন বাংলাদেশে তার একমাত্র সফর। চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে তিনি জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেছিলেন।

পাশাপাশি একটি স্বনির্ভর গ্রাম দেখতে ১৬ নভেম্বর তিনি ঢাকা থেকে ট্রেনে গাজীপুরের শ্রীপুর স্টেশনে যান। এ সময় তার সঙ্গে প্রেসিডেন্ট এরশাদও সফরসঙ্গী ছিলেন। স্টেশন থেকে গাড়িতে চেপে শ্রীপুর উপজেলার বৈরাগীরচালা গ্রামে যান।

রাণীর সফর উপলক্ষে গ্রামে ব্যাপক উন্নয়ন করা হয়েছিল। কাঁচা রাস্তাগুলো রাতারাতি পাকা করা হয়। আর গ্রামে প্রথমবার বিদ্যুৎ সংযোগও দেওয়া হয়, যা ওই গ্রামে কলকারখানা গড়ে উঠতে ব্যাপকভাবে সাহায্য করে।

গ্রামের একটি কাঁঠাল বাগানে স্থানীয় নারীদের সঙ্গে গল্প করেন রানি। এ সময় এক নারী রানিকে রূপার চাবি উপহার দিয়েছিলেন। ওই চাবিটি প্রতীকি অর্থে দেওয়া হয়। এর অর্থ হচ্ছে যেকোনো সময় রানি বৈরাগীরচালা গ্রামে আসতে পারবেন। তার জন্য গ্রামের সব দরজা সর্বদা খোলা।

ওই গ্রামে রানির যাওয়ার মূল কারণ ছিল তিনি একটি স্বনির্ভর গ্রাম পরিদর্শন করতে চেয়েছিলেন। রানিকে পুকুরে মাছ ধরা, মুড়ি বানানোসহ বিভিন্ন গ্রামীণ শিল্প দেখানো হয়। এখনও রাণীর সফর গর্বভরে স্মরণ করেন ওই গ্রামের মানুষ। সিংহাসনে আরোহণের ৭০ বছর পূর্তিতে নানা দেশে উৎসব

৭০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার থেকে যুক্তরাজ্য এবং কমনওয়েলথভুক্ত বিভিন্ন দেশে চার দিন ধরে নানা অনুষ্ঠান হচ্ছে। ব্রিটেনে দিনের অনুষ্ঠানমালা শুরু হয় ট্রুপিং দ্য কালার নামের এক ঐতিহ্যবাহী সামরিক প্যারেড দিয়ে।

এতে ১,২০০ সৈন্য, ২০০ ঘোড়া এবং সেনাবাহিনীর শত শত বাদ্য-যন্ত্রশিল্পী অংশ নিচ্ছেন। এছাড়াও ব্রিটেনের বিভিন্ন শহর ও কমনওয়েলথ দেশগুলোর রাজধানীতে মশাল প্রজ্বলনসহ বেশ কিছু কর্মসূচি। সূত্র: বিবিসি।