বয়সে অনেক নবীন। ঠিক যেন তন্বী তরুণী। আপামর বিশ্বের কাছে স্বপ্নপুরীসম। বিলাসে, আভিজাত্যে অতুলনীয়। আবার অন্যদিকে, অপরাধ জগতের কেউকেটাদের পারফেক্ট হাইডআউট বা গোপন আস্তানা। সব বিশেষণগুলিকে একত্রিত করলে যে নামটা মাথায় আসে তারই কথা বলছি। ইউএই বা সংযুক্ত আরব আমিরাত। অফুরান তেলের খনি, প্রাচুর্য ও বৈভবের সংমিশ্রণে তৈরি এই দেশ যেন স্বপ্নালোক। আপনাদের জন্য রইলো আরব আমিরাতের কিছু অজানা তথ্য। পড়ে দেখুন তো আগে জানতেন কি না!
১. সাতটি আমিরাতকে সংযুক্ত করে বিশ্বের মানচিত্রে আত্মপ্রকাশ করে আরব দুনিয়ার এই দেশ। দেশের রাজধানী আবু ধাবি হল বৃহত্তম আমিরাত। গোটা দেশের আয়তনের ৮৭ শতাংশ রাজধানীর দখলে। ক্ষুদ্রতম হল আজমান, মাত্র ২৫৯ কিমি যার আয়তন।
২. যদিও আবু ধাবি বৃহত্তম তবুও জনসংখ্যায় এগিয়ে দুবাই আমিরাত। আর কে না জানে জনপ্রিয়তায় দুবাই-ই হল বিশ্বের অগ্রণী ভ্রমণস্থান।
৩. দেশে ভিনদেশিদেরই আধিক্য বেশি। আরব দুনিয়ার বাসিন্দা এখানে সংখ্যায় নগন্য। পশ্চিম এশিয়ার ওমান উপসাগর ও পারস্য উপসাগর ঘেরা এই দেশের দেশের জনসংখ্যার ২৭.১৫ শতাংশই ভারতীয় প্রবাসী।
৪. আমিরাতে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালানো বেশ মেহনতের কাজ। এমনটা ভেবে থাকলে বিপদ। কারণ, দুবাই পুলিশের ভাঁড়ারে রয়েছে ল্যামবর্ঘিনি, বেন্টলি এবং ফেরারির মতো ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস গাড়ি।
৫. গৃহিণীর জন্য ১৫ হাজার মার্কিন ডলারের উপহার কিনতে হবে? হাতে সময়ও নেই বেশি? কুছ পরোয়া নেহি। এই দেশে আছে গোল্ড এটিএম। হ্যাঁ, ঠিক পড়েছেন- সোনা। সেই এটিএম-এ টাকা ঢোকালেই মিলবে দামি গয়না ও সোনার ঘড়ির মতো জিনিস।
৬. আরব দুনিয়ার এই দেশের এক শীর্ষ মৌলবির তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের উচ্চতম বিল্ডিং বুর্জ খলিফার ৮০ তলার উপরে যাঁরা বাস করেন তাঁদের রমজানের সময় অতিরক্তি ২-৩ মিনিট অপেক্ষা করতে হয় ইফতারের জন্য। কারণ, উঁচুতে সূর্যকে বেশ কিছুক্ষণ দেখতে পান তাঁরা।
৭. আবু ধাবির মাসদার শহর পুরোপুরি সৌরশক্তি ও অন্যান্য বিকল্প শক্তিতে নির্ভরশীল। প্রাইভেট গাড়ি এ শহরে নিষিদ্ধ। পরিবহণ ব্যবস্থা এখানে ইলেকট্রিক গাড়ি, পরিশুদ্ধশক্তির গাড়ি এবং ব্যক্তিগত পড কারের উপরই টিকে রয়েছে। ভাবুন, দূষণের কোনও নামগন্ধ নেই।
৮. বুর্জ খলিফার আদতে নাম রাখা হয়েছিল বুর্জ দুবাই। কিন্তু রিসেশনের সময় এই বিল্ডিং নির্মাণে আবুধাবি সাহায্য করেছিল বলে শেখ খলিফার নামে এর নামকরণ হয়।
৯. আবুধাবিতেই রয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম ইনডোর বিনোদন পার্ক ফেরারি ওয়ার্ল্ড।
১০. বিশ্বের কর্মরত ক্রেনের ২৫ শতাংশই দেখা যাবে দুবাইয়ে। এই দেশ অনবরত নির্মীয়মাণ। উন্নতির যেন কোনও বিরাম নেই!