ভ্রমনের বাহন হিসেবে রেল সকলেরর পছন্দের তালিকায় উপরে থাকে। বাংলাদেশের বেশির ভাগ জেলায় রয়েছে রেললাইন। রাস্তার পাশ দিয়ে কিংবা গ্রামঞ্চলে মাঠ বা বিলের মধ্যে দিয়ে সাপের মত চলা রেললাইনে গেলে দেখতে পাবেন অসংখ্য কালো রংয়ের গ্রানাইট পাথর।
রেললাইনের পাশাপাশি সম্মিলিতভাবে থাকে চূর্ণ পাথর। রেললাইন তৈরি হয়েছে ইস্পাত দিয়ে এবং কাঠের বন্ধন তার ভার বহন করছে। অথবা কংক্রিটের আয়তক্ষেত্রাকার স্ল্যাব যেটি পরিচিত স্লীপার নামে।
রেলওয়ে ট্র্যাক হলো সাধারণত তাপ সম্প্রসারণ ও সংকোচন, উচ্চ গতি ট্র্যাক। একটি নিরাপদ ভ্রমণের জন্য সমস্ত বিষয়গুলিকে প্রতিরোধ করে। স্লিপারের মাঝখানে এবং চারপাশে ছড়ানো থাকে চূর্ণ পাথর। এই পাথরগুলি কাঠের স্লিপারকে দৃঢ়ভাবে তার স্থানে ধরে রাখে।
পাথরগুলি মসৃণ না হওয়ার কারণ হলো যখন ট্রেনগুলি পাশ করে তখন তারা একে অপরের ওপর পিছলে পড়ে। সেজন্য রুক্ষ ধরনের পাথর ব্যবহার করা হয়। ট্রেনের চাকা ও নিচের লোহার পাতের সংঘর্ষে উৎপন্ন অতিরিক্ত তাপ নিয়ন্ত্রণ করতেই এই ভাঙা পাথরগুলি দেয়া থাকে। যাদের বলা হয়ে থাকে ব্যালাস্ট। কিন্তু এটা ছাড়াও আরও কয়েকটি কারণ রয়েছে।
ট্রেন যখন লোহার পাতের উপর দিয়ে যায়, তখন যাবতীয় চাপ এই লোহার পাতের মাধ্যমে স্লীপারে সঞ্চারিত হয়। সেই চাপে যাতে স্লীপারগুলি ভারসাম্য বজায় রেখে নিজ অবস্থানে অনড় থাকে, সেই জন্যই ব্যালাস্টগুলি দেয়া হয়। এছাড়া পাথরগুলি থাকায় ট্রেনলাইন মাটি থেকে একটু উপরে অবস্থান করে। তাই অতিরিক্ত বৃষ্টিতে লাইন ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা অনেক কম থাকে।
চূর্ণ পাথরগুলি থাকার আরেকটি উদ্দেশ্য হলো ট্র্যাকের ভেতরে জল প্রবেশ করতে দেয় না। যার ফলে গাছপালা জন্মায় না। গুরুত্বপূর্ণভাবে ভারী ট্রেনগুলি যাওয়ার সময় ট্র্যাককে দৃঢ়ভাবে ধরে রাখে।
সূত্র: ডিএমপি নিউজ