জীবনে প্রথমবার প্লেনে উঠেছেন? জানেন না কিভাবে প্লেনের বাথরুম ব্যবহার করতে হয়, কোথায়ই বা যায় প্লেনে ত্যাগ করা আপনার শরীরের বর্জ্য পদার্থ? ভাবছেন এই প্রশ্নটা করা বাচ্চাদের মত হয়ে যাবে? মোটেই নয়। শুধু বাচ্চাদের নয় অনেক বড়দের মনেও এই প্রশ্নটা উঁকি দেয়, এবং তার নিরাসন হয় না। এমন নয় যে, প্লেনের যাত্রীদের ত্যাগ করা মল আকাশেই থেকে যায়, পরে তা মাধ্যাকর্ষনের টানে নেমে আসে মাটিতে। তাহলে যায় কোথায় এই মল মূত্র?
লম্বা সময়ের বিমান যাত্রা। খাওয়া-দাওয়া থেকে ঘুম সবই বিমানে। তাই স্বাভাবিক ভাবেই শরীরকে ‘হালকা’ করার কাজটিও করতে হয় বিমানের মধ্যেই। কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছেন কি যাত্রীদের দেহের যাবতীয় বর্জ্য বিমানের টয়লেট থেকে কোথায় যায়?
বিমানের টয়লেট ট্রেনের থেকে আলাদা রকমের হয়। এখানে থাকে ভ্যাকুয়াম টয়লেট। এই টয়লেট সিট অনেকটা নন স্টিক ফ্রায়িং প্যানের মতো হয়। ফ্লাশ করা মাত্রই মুহূর্তে সব গায়েব হয়ে সিট শুকনো হয়ে যায়। কিন্তু যায় কোথায়?
ফ্লাশ বাটন টেপার সঙ্গে সঙ্গেই খুলে যায় টয়লেটের সঙ্গে যুক্ত ভ্যাকুয়ম পাইপের মুখ। সেকেন্ডের মধ্যে সেই পাইপ দিয়ে বর্জ্য গিয়ে জমা হয় বিমানের লেজে। বিমান গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর পর সেখানে বিমানের ‘পেট খালি’ করা হয়।
দুর্গন্ধ যুক্ত সব বর্জ্য নিয়ে যাওয়ার জন্য আসে ‘হানি ট্রাক’। বিমানের সঙ্গে একটি ভ্যাকুয়াম পাইপ লাগিয়ে সব বর্জ্য পাঠিয়ে দেওয়া হয় ‘হানি ট্রাক’-এর বিশাল ট্যাঙ্কে। এরপর সেইসব বর্জ্য রিসাইকেল করার জন্য নিয়ে চলে যায় ‘হানি ট্রাক’। -সময় টিভি