পদ্মাসেতু থেকে টুস করে বিএনপি নেত্রী খলেদা জিয়াকে ফেলে দেয়া হবে প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মাহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার (১৯ মে) বিকেলে শহরের বিএনপি কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার আয়োজনে এক মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, খালেদা জিয়াকে পদ্মা সেতু থেকে ফেলে দেওয়া উচিত- প্রধামন্ত্রীর এমন বক্তব্য রাজনৈতিক শিষ্টাচার বর্হিভুত এবং এটি খালেদা জিয়াকে সরাসরি হত্যার হুমকি। পদ্মা সেতু কারো বাপের টাকায় তৈরি না। বাংলাদেশের মানুষের ট্যাক্সের টাকায় পদ্মা সেতু তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন খাতে মানুষের কাছে টাকা নিয়ে এই সেতু তৈরি করা হয়েছে। এখানেও তারা লুটপাট করেছে, ১০ হাজার কোটি টাকার কাজ ৪০ হাজার কোটি টাকায় করেছে।
দেশে আলেমদের তালিকা তৈরি করে দুদকে প্রেরন সম্পর্কে মির্জা ফখরুল বলেন, এতোদিন পর এই অভিযোগ আনার অর্থই হচ্ছে, দেশে ধর্মকে কেন্দ্র করে একটা বিশৃঙ্খলা তৈরি করবে আওয়ামী লীগ, যা বিএনপি কখনোই সমর্থন করবেনা। দেশের জনগণ ও বিরোধী দল গুলিকে নির্বাচন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যু থেকে দূরে রাখতেই তারা এমন কাজ করছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি এখন নির্বাচন নিয়ে ভাবছেনা। কীভাবে নির্বাচন হবে সেই চিন্তাই করছে। এসরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় সরকার গঠনের উপর তাগাদা দেন তিনি। সময় হলেই বিএনপি’র সংসদ সদস্যরা পদত্যাগ করবে জানান মির্জা ফখরুল। বিএনপি কখনো কোন ভুল সিদ্ধান্ত নেয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচন বয়কট করেছে তত্বাবধায়ক সরকারের জন্য, পরবর্তী নির্বাচনে গিয়েছে প্রমাণ করতে যে আওয়ামী লীগের অধীনে কোন সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না।
বিদেশীদের সাথে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বিএনপি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ তো নির্বাচন লুট করে নিয়ে যান। বিদেশীদের সাথে তারাই যোগাযোগ করেন, আমেরিকায় গিয়ে পরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে সাহায্যে চেয়েছে বিএনপিকে ভোটে অংশগ্রহন করানোর জন্য। আমরা বিদেশীদের সাথে যোগাযোগ করি না, তারাই যোগাযোগ করে তার অনেক প্রমান রয়েছে।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, শ্রমীক দলের সভাপতি আব্দুল জব্বার, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শাহদাৎ হোসেন সহ আরো অনেকে।