দীর্ঘ ২৪ বছরের দাম্পত্যে ইতি টানতে চলেছে সোহেল খান ও সীমা খান। আরবাজ-মালাইকার ডিভোর্সের পর ফের একবার বিচ্ছেদের খবর খান ফ্যামিলিতে। তবে সোহেল-সীমার বিচ্ছেদের খবর সামনে আসার পর থেকেই উঠে এসেছে বিভিন্ন তথ্য। যার মধ্যে অন্যতম ছিল সোহেল-সীমার মাঝে তৃতীয় ব্যক্তির আগমনের খবর। প্রথমে সোহেল সীমার মাঝে উঠে আসে ক্রিকেটর রোহিত শর্মার নাম।
আসলে সোহেল স্ত্রী সীমা হলেন বান্টি সচদেবের বোন। তারকামহলে বান্টি বেশ পরিচিতি রয়েছে।কর্নারস্টোনস্পোর্টস অ্যান্ড এন্টারটেনমেন্ট নামে একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার মালিক তিনি। বান্টির সূত্রেই পরিচিত রোহিত ও সীমার।
তবে বেশ কয়েকদিন ধরেই সোহেল খানের সঙ্গে বি-টাউনের আরেক নায়িকার সম্পর্কের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল তিনি হলেন হুমা কুরেশি। বি-টাউনে কান পাতলে শোনা যায়, হুমা কুরেশির সঙ্গে সোহেল সম্পর্ক জড়িয়ে পড়লে স্বভাবতই তা মানতে পারেননি সীমা খান। তাঁদের মধ্যে নাকি একবার প্রবল ঝামেলাও হয়েছিল। এরপর একটি ছবির স্পেশ্যাল স্ক্রিনিংয়ে হুমাকে পুরোপুরি অবজ্ঞা করেন সোহেল খান। কিন্তু তারপরও সম্পর্ক চলতে থাকে।
তবে অবশেষে সোহেলের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন হুমা। জানালেন সোহেল তাঁর দাদার মতো।এছাড়াও হুমা বলেন, ‘‘সকলের আমাদের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। নীতি, নৈতিকতা কিছুই তো নেই। তোমাদের প্রশ্নের দিই না বলে ভাবো তোমাদের ভয় পাচ্ছি!’’
১৯৯৮ সালে সীমা সচদেবকে বিয়ে করেছিলেন সলমান খানের ভাই সোহেল খান। দুই সন্তান নির্বাণ এবং ইয়োহান খানকে নিয়ে সুখের সংসার ছিল তাঁদের।
কিন্তু, বিয়ের ২৪ বছর পর ‘বলিউড ওয়াইফ’ হয়ে থাকতে নারাজ সীমা। গত ১৩ মে দু’ জনকে ফ্যামিলি কোর্টের বাইরে দেখা যায়। তবে সীমা কিন্তু শুধুমাত্র সোহেল খানের স্ত্রী হিসেবে জনপ্রিয় নন।
এর বাইরেও তাঁর একটা পরিচয় রয়েছে। তিনি বি টাউনের জনপ্রিয় সেলিব্রিটি স্টাইলিস্ট এবং ফ্যাশন ডিজাইনার। মুম্বইয়ের পাশাপাশি দুবাইতেও তাঁর বুটিক রয়েছে। Bandra 190 Fashion Line এর CEO তিনি।
মাহিপ কাপুর এবং সুজান খানের সঙ্গে অংশীদারিতে ওই সংস্থা চালান সীমা। নিজের ট্রেন্ডি ডিজাইনের জন্য জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন তিনি। বর্তমানে সীমার নেট ওর্দ ১.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। সম্পত্তির নিরিখে সোহেল খানকে টেক্কা দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন সীমা।