চন্দ্রগ্রহণের সময় কখনো কখনো চাঁদের রং লালচে হয়ে যায়, যাকে ইংরেজিতে বলা হয় ব্লাড মুন। বাংলায় বলা যায় রক্তিম চাঁদ। আকাশে আসছে এমন ভিন্ন চেহারার চাঁদ। চলতি বছরের একমাত্র পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ হতে যাচ্ছে আগামীকাল মঙ্গলবারই। তবে বিশ্বের অঞ্চলভেদে বিভিন্ন সময় দেখা যাবে তা।
চন্দ্রগ্রহণের সময় সূর্য ও চাঁদের মাঝামাঝি চলে আসবে পৃথিবী। এ সময় পৃথিবীর ছায়া পড়ে রক্তিম রূপ নেবে চাঁদ। এই দৃশ্য ইউরোপের বেশির ভাগ এলাকায় স্থানীয় সময় সোমবার ভোরে খালি চোখে দেখা যাবে। এ ছাড়া আমেরিকা মহাদেশ অঞ্চলে স্থানীয় সময় রবিবার সন্ধ্যায় খুব ভালোভাবে দেখা যাবে।
সাধারণ সময়ের চেয়ে চাঁদকে এ সময় বেশ বড় দেখা যাবে। কারণ চাঁদ নিজের কক্ষপথ দিয়ে পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে চলে আসবে। একে সুপার ফ্লাওয়ার ব্লাড মুন বলা হবে। উত্তর গোলার্ধে মে মাসের পূর্ণ চাঁদকে ফ্লাওয়ার মুনও বলা হয়ে থাকে। কারণ এটি বসন্তকালীন ফুল ফোটার সময় ঘটে থাকে।
পূর্ণ গ্রহণের সময় চাঁদের বুকে পৌঁছানো সূর্যের সব আলোই যাবে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে। পৃথিবীর সব স্থানের সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের আলো পড়বে চাঁদের বুকে, যা হবে রক্তিম। ব্রিটিশ জ্যোতির্বিজ্ঞানী গ্রেগরি ব্রাউন বলেন, ‘পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানের সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত বায়ুমণ্ডল হয়ে চাঁদের পৃষ্ঠে প্রতিফলিত হওয়ায় এটি রক্তিম লাল বর্ণ ধারণ করবে। ’
গ্রেগরি ব্রাউন বলেন, প্রথম অংশের চন্দ্রগ্রহণ যুক্তরাজ্য থেকে ভালোভাবেই দেখা যাবে। স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ২৯ মিনিটে চাঁদ লাল হয়ে যাবে এবং পূর্ণ গ্রহণ হবে। ৭টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত চন্দ্রগ্রহণ চলবে।
ব্রাউন আরো বলেন, আমেরিকা মহাদেশে এই দৃশ্য ৮৪ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হবে। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার পশ্চিমাঞ্চলে স্থানীয় সময় রবিবার সন্ধ্যায় এই দৃশ্য খালি চোখে দেখা যাবে। আর বাইনোকুলার বা টেলিস্কোপ দিয়ে চাঁদের লাল রঙের দেখা মিলবে।
এই বিজ্ঞানী আরো বলেন, ‘খোদ চাঁদের বুক থেকে মিলবে এর সবচেয়ে আকর্ষণীয় দৃশ্য। যদি কোনো মহাকাশচারী এ সময় চাঁদের মাটিতে দাঁড়িয়ে পৃথিবীর দিকে তাকান, তাহলে তিনি আমাদের গ্রহের চারপাশে একটি লাল রিং দেখতে পাবেন। ’ সূত্র : বিবিসি