রাজশাহীতে পৃথক দুটি দুর্ঘটনায় একই পরিবারের তিনজনসহ ৫ জন নিহত হয়েছেন। রোববার সকালে রাজশাহীর পবা ও মোহনপুর উপজেলার মাঝামাঝি আলাই বিদিরপুর নামক স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী-স্ত্রী ও তাদের শিশুসন্তান নিহত হয়। একই ঘটনায় এক যুবদল নেতাও নিহত হয়েছেন।
অন্যদিকে শনিবার রাতে খড়খড়ি-মোহনগঞ্জ সড়কের সারাংপুর নামক স্থানে সিএনজি উল্টে নিহত হয়েছেন রাজশাহী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তর পরীক্ষার্থী আলমগীর হোসেন (২৬)।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কে উপজেলার পবার আলাই বিদিরপুর নামক স্থানে দুই মোটরসাইকেল ও ট্রাক্টরের ত্রিমুখী সংঘর্ষে শিশুসহ চারজন নিহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- মোটরসাইকেল আরোহী নওগাঁর মান্দা উপজেলার ছোট বিড়ালদহ গ্রামের মৃত ময়েজ উদ্দিনের ছেলে ও উপজেলা যুবদলের সহ-সভাপতি আবদুল মান্নান (৪৮), নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার চন্ডীপুর গ্রামের ব্যবসায়ী আক্তার হোসেন, তার স্ত্রী বিথি খাতুন (৩৩) এবং তার চার বয়সী মেয়ে মরিয়ম জান্নাতী (৪)। এদের মধ্যে ঘটনাস্থলেই তিনজন ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজন মারা যান।
আরএমপির পবা থানার ওসি ফরিদ হোসেন জানান, রোববার সকালে স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে আক্তার হোসেন (৩৫) মোটরসাইকেলে চড়ে রাজশাহী থেকে নিয়ামতপুরে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছিলেন। পবার আলাইবিদিপুর নামক স্থানে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। একই সময়ে একটি মাটিবোঝাই ট্রাক্টর এসে দুর্ঘটনা কবলিত মোটরসাইকেল দুটিকে চাপা দেয়।
এতে যুবদল নেতা মান্নান, বিথি খাতুন ও শিশু মরিয়ম জান্নাতি নিহত হন। আহত আক্তার হোসেন বিকালে রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় পবা থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।
অন্যদিকে শনিবার রাতে মোহনগঞ্জ-খড়খড়ি সড়কের সারাংপুরে অটো উল্টে ঘটনাস্থালেই নিহত হন রাজশাহী কলেজের স্নাতকোত্তর পরীক্ষার্থী আলমগীর হোসেন। আলমগীর পরীক্ষা শেষে রাজশাহী থেকে গ্রামের বাড়ি বাগমারা উপজেলার সগুনা গ্রামে ফিরছিলেন।
নিহত আলমগীর বাগমারা উপজেলার বাসুপাড়া ইউনিয়নের সগুনা গ্রামের রেজাউল ইসলামের ছেলে। জানা গেছে, দুই বছর আগে আলমগীরের ভাই জাহাঙ্গীরও সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। এ ঘটনায় মোহনপুর থানায় একটি পৃথক মামলা হয়েছে।