পুকুরে পাওয়া গেল ৩৫ ইলিশ

পুকুরের পাওয়া গেলো ইলিশ মাছ। তাও আবার এক দুইটি না ৩৫টি। যার প্রতিটি ইলিশের ওজন ৩০০-৪০০ গ্রাম। শুক্রবার (১৩ মে) বিকেলে নোয়াখালীর নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের যুগান্তর কিল্লা নামে বড় একটি পুকুর থেকে মাছগুলো পাওয়া যায়।

পুকুরে ইলিশ নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন জেগেছে। কিভারে এলো মাছ গুলো। বেঁচেই বা ছিল কীভাবে।নোয়াখালীর নিঝুম দ্বীপ মূলত দক্ষিণ প্রান্তের বঙ্গোপসাগর লাগোয়া। হাতিয়া উপজেলার এ ইউনিয়নটিতে সারা বছরই জোয়ার-ভাটা লেগে থাকে। জোয়ারের সময় নিঝুম দ্বীপের পুকুরগুলো নোনা পানিতে পূর্ণ হয়ে যায়। এ সময় ইলিশ বা ইলিশের পোনা পুকুরগুলোয় এসে পড়ে। সাগর বা নদীর মতো পুকুরে নোনা পানিতে ইলিশের পোনা বেঁচে থাকে, বেড়ে ওঠে।

২০২১ সালে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে জোয়ারের পানিতে যুগান্তর কিল্লা পুকুরটি ডুবে গিয়েছিল। জোয়ারের পানিতে তখন ইলিশ বা পোনা পুকুরটিতে চলে আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আফছার দিনাজ জানান, পুকুরের মালিক আবদুল মান্নান পুকুরে সেচের মেশিন বসিয়েছেন। শনিবার সকালের দিকে সেচের পুরো কাজ শেষ হবে। এর আগে শুক্রবার বিকেলের দিকে জেলেদের দিয়ে পুকুরে জাল ফেলা হয় বড় মাছগুলো ধরার জন্য। ওই জালে ৩৫টি ইলিশ উঠে।

স্থানীয় বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন জানান, জোয়ারের পানিতে ‘যুগান্তর কিল্লা’ পুকুরটি পুরোপুরি ডুবে যায়। তখন জোয়ারের পানিতে ইলিশ মাছগুলো পুকুরে প্রবেশ করে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বলেন, পুকুরে ইলিশ হয় বিষয়টি এমন নয়। মূলত জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় তখন ইলিশ পুকুরে এসেছে। নিঝুমদ্বীপ নিম্নাঞ্চল তাই জোয়ারে প্লাবিত হয়। পুকুরটি যখন প্লাবিত হয়েছে, তখন ইলিশ প্রবেশ করেছে। এছাড়া আলাদা কিছু এখানে নেই।