মাদক সেবন তো দূরের কথা বিড়ি-সিগারেটও খাই না: টিটিই শফিকুল

বিনা টিকিটে ট্রেনে ওঠায় রেলমন্ত্রীর তিন আত্মীয়কে জরিমানা করেন খুলনা থেকে ঢাকাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনের ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরীক্ষক (টিটিই) মো. শফিকুল ইসলাম। ঘটনার পর গেল শুক্রবার মুঠোফোনে জানতে পারেন সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন তিনি। এরপর বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করলে তার বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করা হয়। আর সেই খবরে স্বস্তি প্রকাশ করেন শফিকুল ইসলাম।

রোববার (৮ মে) দুপুরে পাবনার পাকশীতে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের বিভাগীয় কার্যালয়ের সামনে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। টিটিই শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। যেহেতু আমি রেলওয়ের জন্য কাজ করি, দেশের জন্য কাজ করি, আমাকে আবার কাজে যোগদানের সুযোগ দিয়েছে, তাতে আমি খুশি।’

রেলমন্ত্রীর আত্মীয়দের জরিমানা করার ঘটনায় সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার পর টিটিই শফিকুল ইসলামকে ‘মাদকাসক্ত এবং হীনমন্যতায় ভোগেন’ বলে মন্তব্য করেছিলেন পাকশী রেল বিভাগের ডিসিও (বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা) নাসির উদ্দিন। এ বিষয়ে শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি মাদক সেবন তো দূরের কথা বিড়ি-সিগারেটও খাই না। এমনকি চা স্টলে চা-ও খাই না। এছাড়া আমি আমার চাকরি নিয়ে সন্তুষ্ট। আমি মানসিক বিকারগ্রস্ত না।’ তিনি বলেন, ‘চাকরিজীবনে এটি আমার প্রথম সাময়িক বরখাস্তের ঘটনা। আমি যদি মাদকাসক্ত হতাম তাহলে এতদিন এভাবে সুনামের সঙ্গে চাকরি করতে পারতাম না।’

রেলমন্ত্রীর ‘আত্মীয় পরিচয়’ দিয়ে বিনা টিকিটে ট্রেনে ভ্রমণ করায় গত ৪ মে রাতে ঈশ্বরদী থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর ‘সুন্দরবন এক্সপ্রেস’ এর তিন যাত্রীকে জরিমানা করেছিলেন টিটিই শফিকুল। এ ঘটনার পর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে রেল কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয় সমালোচনা। টিআইবি এবং যাত্রী কল্যাণ সমিতিসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ওই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে শফিকুলকে বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। এরপর টিটিই শফিকুল ইসলামকে দায়িত্বে পুনর্বহাল করার আদেশ দেন পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে কর্মকর্তা (ডিআরএম) শাহীদুল ইসলাম।