বাজার থেকে ভোজ্যতেল উধাও, সংবাদ সম্মেলনে আসছেন বাণিজ্যমন্ত্রীর

বাজারে আগে থেকেই ভোজ্য তেলের অস্হিরতা ছিল, দামও ছিল বাড়তি। গত দুই বছর ধরে প্রায় একই অবস্হা। কিন্তু হঠাৎ করেই বাজার থেকে প্রায় উধাও হয়ে গেছে সয়াবিন তেল, পাম অয়েল। এ যেন তেল নিয়ে তেলেসমাতি কারবার। নতুন দাম কার্যকর হলেও অধিকাংশ দোকানে মিলছে না বোতলজাত তেল। দু-এক জায়গায় গোপনে নতুন দামের চেয়ে অনেক বেশিতে বিক্রি হচ্ছে। তেলের সন্ধানে দোকান থেকে দোকানে ঘুরছেন ক্রেতা। এদের বেশিরভাগই হতাশ হয়ে ফিরছেন শূন্য হাতে। এই সংকট সাধারণ মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে।

এদিকে ভোজ্যতেলের বাজার ব্যবস্থাপনা নিয়ে সোমবার সকালে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে করবেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। আজ রবিবার (৮ মে) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা সিনিয়র তথ্য অফিসার মো. আব্দুল লতিফ বকসী এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামীকাল সোমবার (৯ মে) সকাল ১১টায় সচিবালয়ে ভোজ্যতেলের বাজার ব্যবস্থাপনা নিয়ে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হবেন বাণিজ্যমন্ত্রী। এ সময় তেলের দাম বৃদ্ধির কারণসহ সামগ্রিক বিষয়ে কথা বলবেন তিনি।

গত বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বৈঠকের পর তেলের নতুন দাম নির্ধারণ করে ভোজ্যতেল পরিশোধন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। নতুন দাম অনুযায়ী, বোতলজাত প্রতি লিটার সয়াবিন তেল খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হবে ১৯৮ টাকা। আর ৫ লিটারের বোতলের দাম হবে ৯৮৫ টাকা, যা বর্তমানে ৭৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৮০ টাকা ও খোলা পাম তেল প্রতি লিটার ১৭২ টাকায় বিক্রি হবে।

উল্লেখ্য, সবশেষ ২০২১ সালের ১৯ অক্টোবর সরকার নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৬০ টাকা ও খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৩৬ টাকা নির্ধারিত ছিল। আর বোতলজাত সয়াবিনের ৫ লিটার তেলের দাম ৭৬০ টাকা ও পাম তেলের দাম ছিল ১১৮ টাকা।