সয়াবিন তেলসহ ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায় বাদাম তেল খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, আমাদের দেশে এক সময় বাদামের তেল হতো। একেবারে ছোট ছোট আকারে এলাকাভিত্তিক বাদাম দিয়ে তেল হতো। সেই তেল দিয়েই ভাঁজা পোড়া হতো। আমাদের সেদিকে আবার দৃষ্টি দিতে হবে। শনিবার (৭ মে) গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভার শুরুতে সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে আমদানির ওপর বিরূপ প্রভাব পড়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর ইউরোপের অর্থনৈতিক অবস্থায় প্রভাব পড়েছে, আমেরিকা-ইংল্যান্ডেও প্রভাব পড়ছে। সারাবিশ্বে এর প্রভাব পড়ছে, আমরা এর থেকে বাইরে নই। আমাদের কিছু জিনিস তো উৎপাদন হয় না, বাইরে থেকে আনতে হয়। পেঁয়াজের সমস্যা হলো। পেঁয়াজ আমরা উৎপাদন করতে পারি। সেটা নিয়ে যখন ব্যবস্থা নিলাম পেঁয়াজের কান্না আর কানতে হবে না। এরকম একটা অবস্থা আমরা আনতে পেরেছি। এখন আসছে ভোজ্যতেল, সেটাও আমি মনে করি আমরা যদি উদ্যোগ নেই, আমি মনে করি সমাধান করতে পারবো। আমাদের দেশে এক সময় বাদাম তেল হতো, ছোট ছোট আকারে এলাকাভিত্তিক বাদাম তেল হতো, সেই তেল দিয়েই ভাজা-পোড়া হতো। আমাদের সেদিকে আবার দৃষ্টি দিতে হবে।
তেল উৎপাদনের আরও কি পদ্ধতি আছে সেদিকে দৃষ্টি দেওয়ার আহ্বান করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তা ছাড়া আমাদের দেশে ভালো সরিষা হচ্ছে, তিল হচ্ছে অন্যান্য যেগুলো তেল হয়, যেমন ধানের কুড়া থেকে তুষ থেকে তেল হচ্ছে এভাবে তেল উৎপাদনে কোন কোন পদ্ধতি নেওয়া যেতে পারে সেটা নিয়ে আমাদেরও নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে। মনে রাখতে হবে বিশ্বব্যাপাী যে মন্দা দেখা দিচ্ছে এটা খুব ব্যাপকভাবে বাড়তে পারে, তার প্রভাব আমাদের উপরও আসতে পারে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী লন্ডনের উদাহরণ টেনে বলেন, লন্ডনে রেশন করে তেল দেওয়া হচ্ছে। সেখানে ১ লিটারের বেশি কেউ তেল কিনতে পারবে না। প্রত্যেকটা জিনিস সুনির্দিষ্ট করে দিচ্ছে। এরকম একটা অবস্থা সারা বিশ্বেই। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে শীপের ভাড়া এতো বেড়ে গেছে। যেগুলো আমদানি করি সেই আমদানির উপর যুদ্ধের প্রভাব পড়ছে। সারা বিশ্বে দাম বেড়ে যাচ্ছে। যুদ্ধের প্রভাবে অর্থনৈতিক অবস্থার উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।