ঘরে ঢুকে কলেজছাত্রীর সর্বনাশের পর হত্যা

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায় এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (৭ মে) সকালে পাঁচবিবি উপজেলার মাঝিনা এলাকা থেকে আয়শা আক্তার (২২) নামের ওই ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়। আয়শা সিদ্দিকা পাঁচবিবি উপজেলার মাঝিনা গ্রামের মোজ্জামেল হকের মেয়ে। সে জয়পুরহাট সরকারি কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সামছুল আরেফিন চৌধুরী আবু জানান, আয়শা সিদ্দিকার বাবা মোজাম্মেল হক ঋণ খেলাপের দায়ে বর্তমানে জেলখানায় রয়েছেন। শুক্রবার দিনের বেলায় চাচাতো দুই বোনকে নিয়ে স্বপ্নপুরী ঘুরতে যায়। সন্ধ্যার পরে তারা বাড়ি ফিরে আসেন। রাতে নিজ বাড়ির চাচাতো বোনদের পাশের কক্ষে ঘুমাতে বলে নিজের ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন আয়শা। চেয়ারম্যান আরও জানান, শনিবার সকালে আয়শাকে বিবস্ত্র অবস্থায় ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে তার দুই বোন। এসময় মেয়েটির মুখে পায়জামা গুঁজে রাখা হয়েছিল।

স্থানীয়দের ধারণা, রাতের কোনো এক সময় কে বা কারা কৌশলে বাড়ির সীমানা প্রাচীর টপকিয়ে ভেতরে ঢুকে আয়েশার মুখে কাপড় গুঁজে ধর্ষণের পর হত্যা করে পালিয়ে যায়।

ওসি পলাশ চন্দ্র দেব প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে জানান, শনিবার সকালে আয়শার ঘরের দরজা খোলা এবং আয়শার মরদেহ মাটিতে বিবস্ত্র অবস্থায় পড়ে রয়েছে এমন দেখতে পেয়ে পাশের কক্ষে থাকা চাচাতো দুই বোন চিৎকার করে। এ সময় স্থানীয়রা এসে ঘটনা দেখে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই বাড়িটি ঘিরে রেখেছে এবং বিভিন্ন আলামত, তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করার চেষ্টা করছে।

সিনিয়ার সহকারি পুলিশ সুপার ( পাঁচবিবি সার্কেল) ইশতিয়াক আলম বলেন, সিরাজগঞ্জ থেকে সিআইডির ক্রাইমসিন ইউনিটের একটি চৌকশ দল রওয়ানা হয়েছে। তারা এসে আলামত সংগ্রহ করার পর আয়শার মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হবে। তিনি আরো জানান, ধারণা করা হচ্ছে একাধিক ব্যক্তি তাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। কি কারনে এই ঘটনা ঘটেছে তদন্তের পর সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে।