সাত সকালে শয়ন কক্ষ থেকে মা ও দুই মেয়ের মরদেহ উদ্ধার

মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বালিয়াখোড়া ইউনিয়ন থেকে মা এবং দুই মেয়ের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার (৮ মে) সকালে একই শয়ন কক্ষ থেকে পাশাপাশি পড়ে থাকা তিনটি লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহত নারীর স্বামী আসাদুজ্জামান রুবেল পলাতক রয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, নিহতের স্বামীকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে প্রয়োজনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হবে।

ঘিওর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রিয়াজ উদ্দিন আহাম্মেদ বিপ্লব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহতরা হলেন, মা লাভলী আক্তার (৩৫), বড় মেয়ে ছোঁয়া (১৬) এবং ছোট মেয়ে কথা (১২)। আসাদুজ্জামান রুবেল বালিয়াখোড়ারার ইউনিয়নের আঙ্গরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পেশায় গ্রামের একজন দন্ত চিকিৎসক।

ওসি জানান, প্রতিবেশীদের মাধ্যমে খবর পেয়ে আমরা সকাল সাড়ে ৬টায় ঘটনাস্থলে আসি। নিজঘরে এক গৃহবধূ ও দুই কন্যাকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। ঘরের ভেতর খাটের ওপর তিনজনের জবাই করা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি ঘটনার পর আত্মগোপনে ছিলেন। তাকে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তিনি ঋণগ্রস্ত ও হতাশাগ্রস্ত ছিলেন। এসব কারণেই তিনি হয়তো স্ত্রী ও ২ কন্যাসন্তানকে হত্যা করে থাকতে পারেন।

শিবালয় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুরজাহান লাবনী বলেন, প্রাথমিকভাবে এটাকে হত্যা বলেই ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনার পর থেকে স্বামী রুবেল গা ঢাকা দেয়ার চেষ্টা করেছিল। পরবর্তীতে আমরা তাকে পুলিশি নজরদারিতে এনেছি।

ঘটনার রহস্য উদঘাটনে স্বামী রুবেলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেপ্তার করা হতে পারে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আমরা এই ঘটনাটিকে খুবই গুরুত্ব সহকারে দেখছি। নিহতের স্বামী রুবেল ঋণে বিপর্যস্ত ছিল বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।