খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার সোনাইপুল বাজারে এক ব্যবসায়ীর গুদামে ৫৭ হাজার লিটার সয়াবিন তেলের অবৈধ মজুতের সন্ধান পেয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এদিকে অবৈধভাবে ভোজ্যতেল মজুত করে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি দায়ে রামগড় পৌরসভার সোনাইপুল বাজারের মেসার্স খাঁন ট্রেডার্স নামে ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক ফজলুল করিম পাটোয়ারীকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ সময় একই অপরাধে ওই বাজারের মেসার্স আলমগীর স্টোরকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার (৬ মে) বিকেলে আকস্মিক অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ এ আদালত। শনিবার (৭ মে) দুপুরে রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার মো. ইখতিয়ার উদ্দীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছন।
জানা গেছে, ভোজ্যতেলের অবৈধ মজুদের সংবাদ পেয়ে রামগড়ের সোনাইপুল বাজারের মেসার্স খাঁন ট্রেডার্সে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক ফজলুল করিমের ৪টি গুদামে ৫৭ হাজার লিটার সয়াবিন তেল পাওয়া যায়। কোনো ধরনের ডিলিং লাইসেন্স ছাড়া বাজারে কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করে অধিক মুনাফার জন্যই এভাবে তেল মজুদ করা হয়েছে। একই বাজারের মেসার্স আলমগীর স্টোর নামে আরেকটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানেও অনুরুপ অভিযান চালিয়ে সয়াবিন তেলের অবৈধ মজুত পাওয়া যায়।
রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার মো. ইখতিয়ার উদ্দীন জানান, ওই ব্যবসায়ীর কোনো ডিলার লাইসেন্স নেই। লাইসেন্স ছাড়া ডিলারশিপের ব্যবসা অবৈধ। বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে অধিক মুনাফার জন্যই এভাবে বিপুল পরিমাণ তেল মজুত করা হয়েছে। একই বাজারের মেসার্স আলমগীর স্টোর নামে আরেকটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানেও অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ মজুত পাওয়া যায়।
তিনি আরও বলেন, ডিলার লাইসেন্স ছাড়া ভোজ্য তেলের ডিলার হিসেবে ব্যবসা পরিচালনা করা এবং সয়াবিন তেলের অবৈধ মজুতের অপরাধে মেসার্স খাঁন ট্রেডার্সকে ১ লাখ টাকা এবং মেসার্স আলমগীর স্টোরকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।