দু-তিন দিন আগেই বাজারে ভোজ্যতেলের সংকট ছিল। কিন্তু শুক্রবার (৬ মে) থেকে তেলের নতুন দাম কার্যকরের পর থেকেই বাজারে সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে। নতুন দামে তেল কোম্পনিগুলো এখনও বাজারজাত শুরু করেনি। তবে দোকানদাররা পুরনো তেলই নতুন দামে বিক্রি করছেন। রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজারে এমন চিত্র দেখা গেছে।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এতেই বোঝা যায় তেলের এই সংকট কৃত্রিমভাবে তৈরি করা। মূলত অসৎ ব্যবসায়ীরাই তেল মজুত করে অতিরিক্ত দামে বিক্রি করছেন। রমজানের শেষ দিকে এসে দেশে নতুন করে আবারও সয়াবিন তেলের সংকট সৃষ্টি হয়। সংকট মোকাবিলায় গতকাল বৃহস্পতিবার দাম পুনর্নির্ধারণ করে সরকার। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, খুচরা বাজারে খোলা সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটার ১৮০ টাকা, বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৯৮ টাকা ও পাম সুপার ১৭২ টাকা করে নির্ধারণ করা হয়েছে।
শুক্রবার (৬ মে) রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার বেশিরভাগ এলাকার দোকানেই সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে। তেল কিনতে আসা ক্রেতারা বলছেন, মূল্য নির্ধারণের পর নতুন সয়াবিন তেল এখনও বাজারেই আসেনি। অথচ আগের সয়াবিন তেলই বিক্রি হচ্ছে নতুন দরে। এতদিন সয়াবিন তেলের সংকট থাকলেও এখন কোথা থেকে তেল আসলো তা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেকেই।
নবোদয় হাউজিং প্রধান সড়কে আলম ব্রাদার্সের স্বত্ত্বাধিকারী মো. আলম বলেন, বাজারে সয়াবিনের সংকট নেই। ঈদের আগে যে সংকট দেখা গেছে তা কৃত্রিমভাবে হয়েছিল। দাম বাড়বে জেনে অসৎ ব্যবসায়ীরা সয়াবিন দোকান থেকে সরিয়ে রেখেছিলেন। আর সে কারণে প্রতি লিটার ৮০ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছিল। আর কেউ কেউ বিক্রিই করেনি। ঈদের পরে এখনও নতুন করে সয়াবিন তেল সরবরাহ করা হয়নি বলেও জানান মো. আলম।
মোহাম্মদপুর এলাকার বিভিন্ন দোকানেও একই দামে সয়াবিন বিক্রি করতে দেখা গেছে। আগের সয়াবিন কেন বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে জানতে চাইলে কেউ কোনও উত্তর দিতে চাননি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন মালিক জানান, গায়ের দামে কিনেছি তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। মিরপুর ১৩ নম্বরের মুদি দোকানদার রফিক বলেন, সয়াবিন তেল রয়েছে আমার দোকানে এবং সরকার নির্ধারিত মূল্যে তা বিক্রি হচ্ছে। সরকার দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে এখন তেলের বাজার কিছুটা স্বাভাবিক হবে কয়েকদিন তেলের সংকট ছিল।