মাদারীপুর জেলার ৪০ গ্রামে ঈদ আজ সোমবার (২ মে)। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সকাল সাড়ে ৯টায় সদর উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের তাল্লুক গ্রামের চর কালিকাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। হযরত সুরেশ্বরী (রা:) এর ভক্ত অনুসারীরা মাদারীপুরের ৪০ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ সোমবার (২ মে) ঈদুল ফিতর উদযাপন করবেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন শরীয়তপুর সুরেশ্বর দরবার শরীফের পীর খাজা শাহ সূফী সৈয়দ নূরে আক্তার হোসাইনের ভক্ত-অনুসারী চরকালিকাপুর গ্রামের জাকির মুন্সী।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বর দ্বায়রা শরীফের প্রতিষ্ঠাতা হযরত জানশরীফ শাহ সুরেশ্বরী (রা:) এর মাদারীপুর ও শরীয়তপুর জেলাসহ বাংলাদেশের প্রায় দেড় কোটি ধর্মপ্রাণ মুসলমান ২ মে সোমবার ঈদ পালন করবেন। সুরেশ্বর দরবার শরীফের মুরিদানারা পঞ্জিকার তিথি দেখে একদিন পূর্বে রোজা রাখেন এবং একদিন পূর্বে ঈদ উদযাপন করেন।
সে হিসেবে মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের চরকালিকাপুর, মহিষেরচর, পূর্ব পাঁচখোলা, জাজিরা, কাতলা, তাল্লুক, খোয়াজপুর ইউনিয়নের চরগোবিন্দপুর, পখিরা, খোয়াজপুর, কুনিয়া ইউনিয়নের দৌলতপুর, কালিকাপুর ইউনিয়নের কালিকাপুর, হোসনাবাদ, ছিলারচর ইউনিয়নের রঘুরামপুর, আংগুলকাটা, হাজামবাড়ী ও শিবচর উপজেলার বাহেরচর, কেরানীরবাট, কালকিনির রমজানপুর, কয়ারিয়া, রামারপুল, সাহেবরামপুর, আন্ডারচর, খাশেরহাটসহ জেলার ৪০ গ্রামের গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ ঈদ উদযাপন করবেন।
সুরেশ্বর পীরের ভক্ত সদর উপজেলার চরকালিকাপুর গ্রামের জাকির মুন্সী বলেন, ইসলাম ধর্মের সবকিছুই মক্কা শরীফ হয়ে বাংলাদেশে এসেছে। সুরেশ্বর দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা শাহ সুরেশ্বরী (রা:) এর অনুসারীরা ১৫০ বছর পূর্ব থেকে সৌদি আরবসহ মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখেন এবং ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা পালন করে আসছেন। সে অনুযায়ী আমরা সোমবার ঈদ পালন করবো।