টানা পাঁচ দিন ধরে ঢাকাসহ দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ। বাতাসে আর্দ্রতার আধিক্য থাকায় মানুষ ঘেমে-নেয়ে একাকার। এর মাঝেই এসেছে ঈদ। স্বজনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ উদযাপনে বাড়ি অভিমুখে ছুটছে মানুষ। তীব্র গরমে এই ছোটাছুটিতে শারীরিক কষ্ট বেড়েছে রোজাদারদের। তবে চলমান এই তাপপ্রবাহ ধীরে ধীরে কমে আগামী শনিবার থেকে বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এদিকে শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) রাতে রাজধানীতে আঘাত হেনেছে কালবৈশাখী। রাত সাড়ে ১১টার দিকে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে শুরু হয় প্রবল বাতাস। তবে এর সঙ্গে প্রত্যাশার বৃষ্টির দেখা মেলেনি। পুরো রাজধানী আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে ধূলি ঝড়ে।এদিকে রাজধানীর পাশাপাশি দেশের আরো বেশকিছু জায়গায় ঝড়ো বাতাস বয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও মাঝিরকান্দি নৌরুটে ফেরি ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ শুক্রবার রাত ৯টার দিকে এ ঘোষণা দেয়।
এছাড়া শনিবার (৩০ এপ্রিল) আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. আবুল কালাম জানান, আগামী ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও সিলেটের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রামের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। এছাড়া টাঙ্গাইল, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, রাঙামাটিসহ রাজশাহীতে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাবে। তবে এসব এলাকাতে গতকালের চেয়ে তাপমাত্রা কিছুটা কমার সম্ভবনা রয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আজ থেকে আগামী ৪ মে পর্যন্ত সারাদেশের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকবে। এই ৪ মে পর্যন্ত দেশের বজ্রসহ ঝড়-বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে। মূলত আজ থেকেই গত কয়েক দিনের চেয়ে দেশের আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে শুরু করবে।
ঈদের দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগামীকাল চূড়ান্তভাবে জানা যাবে। তবে এখন পর্যন্ত আমাদের পূর্বাভাস অনুযায়ী ঈদের দিন বৃষ্টি হওয়ার আভাস রয়েছে। ঈদের দিন বৃষ্টি হলেও একযোগে হওয়ার সম্ভবনা কম। বিচ্ছিন্নভাবে সারাদেশের অঞ্চল-বিভাগগুলোতে বৃষ্টির হবে। যার ফলে ঈদের আগে-পরে এবং ঈদের দিন দেশের আবহাওয়া ঠান্ডা থাকবে। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আলাদাভাবে কালবৈশাখীর ঝড় হবে না। এখন বৃষ্টি মানেই ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্র বৃষ্টি।