প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেটের ওসমানীনগরে ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে প্রতি বছরের মতো এবারও প্রচুর রেমিট্যান্স আসছে। বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতিদিন গড়ে ১০ কোটি টাকার বেশি রেমিট্যান্স আসছে বলে জানিয়েছেন ব্যাংক সংশ্নিষ্টরা।
স্বজনদের ঈদের কেনাকাটা, জাকাত এবং ফিতরা পরিশোধের জন্যই টাকাগুলো আসছে। রেমিট্যান্সের কারণে নগদ টাকার প্রবাহ বাড়ায় বিপণিবিতানগুলোতে জমজমাট বেচাকেনা চলছে। হাট-বাজারগুলোতে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ক্রেতাদের আনাগোনা চলছে।
উপজেলার ব্যবসায়িক প্রাণকেন্দ্র গোয়ালাবাজার ‘ব্যাংকের শহর’ নামেই পরিচিত। উপজেলা পর্যায়ের এ বাজারে বিভিন্ন ব্যাংকের ১৯টি শাখা রয়েছে। এসব শাখার মাধ্যমে প্রতিদিন গড়ে সাত-আট কোটি টাকার রেমিট্যান্স আসছে বলে ধারণা পাওয়া যায়। সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স লেনদেন করছে বেসরকারি ব্যাংক ডাচ্-বাংলা। তাদের শাখায় প্রতিদিন ২৫০ থেকে ৩০০ গ্রাহক কোটি টাকার বেশি রেমিট্যান্স উত্তোলন করছেন।
সরেজমিন গোয়ালাবাজারের বিভিন্ন ব্যাংকে ঘুরে দেখা যায়, অনেক ব্যাংকে রেমিট্যান্স তোলার জন্য গ্রাহকের উপচে পড়া ভিড়।
ইসলামী ব্যাংক গোয়ালাবাজার শাখার ম্যানেজার (অপারেশন) গোলাম আজাদ বলেন, চলতি বছরের তিন মাসে তারা ২৭২ দশমিক ৯৯ মিলিয়ন টাকার রেমিট্যান্স লেনদেন করেছেন। ঈদ উপলক্ষে চলতি মাসে লেনদেনের পরিমাণ অনেক বেড়েছে। ব্যাংকের শাখা ছাড়াও তাদের স্থানীয় এজেন্ট ব্যাংকিং থেকেও টাকা উত্তোলন করা হচ্ছে।
রেমিট্যান্সের টাকা হাতে পেয়েই ঈদের নতুন জামাকাপড় কিনতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন এলাকার সর্বস্তরের মানুষ। ক্রেতাদের মধ্যে নারী এবং শিশুর সংখ্যাই বেশি। তবে এ বছর কাপড়ের দাম কয়েক গুণ বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। পরিবার-পরিজন নিয়ে বাজারে এসে কাপড় কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।
বদরুল ইসলাম নামে এক ক্রেতা বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার কাপড়ের দাম অনেক বেশি। ফলে নির্ধারিত বাজেটে কেনাকাটা সম্ভব হচ্ছে না।
গোয়ালাবাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং প্রাপ্তি ফ্যাশনের মালিক পরিমল দেব বলেন, বাজারে ক্রেতা সমাগম প্রচুর। ঈদের আগের রাত পর্যন্ত বেচাবিক্রি চলবে ধুন্ধুমার।