টুইটার কেনার পর এবার কোকা-কোলা কেনার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন বিশ্বের এক নম্বর ধনকুবের ইলন মাস্ক। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘এরপর আমি কোকা-কোলা কিনতে যাচ্ছি, এতে কোকেইন ফিরিয়ে আনার জন্য।’
কিন্তু সত্যিই কি তিনি কোকা-কোলা কিনতে যাচ্ছেন? না। বিষয়টি নিয়ে আসলে তিনি মজা করেছেন বলেই মনে হচ্ছে। কারণ সদ্যই টুইটার কেনার পেছনে তার খরচ হচ্ছে ৪৪ বিলিয়ন ডলার। পুরো অর্থের সংস্থান কীভাবে হচ্ছে তা এখনও রহস্যময়। এর মধ্যে কি তিনি কোকা-কোলা কিনতে পারেন?
ইলন মাস্ক হতে পারেন বিশ্বের এক নম্বর ধনী। কিন্তু তিনিও একটা সীমাবদ্ধ সম্পদের মালিক। ব্লুমবার্গ বিলিওনেয়ার ইনডেক্স অনুযায়ী, মাস্কের সম্পদের পরিমাণ ২৫০.৬ বিলিয়ন ডলার। এছাড়া তার কাছে প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার নগদ এবং কিছুটা তরল সম্পদ রয়েছে বলে তাদের ধারণা।
অন্যদিকে কোকা-কোলার বর্তমান বাজার মূলধন ২৮৪ বিলিয়ন ডলার। এই মুহূর্তে তিনি কোকা-কোলা কেনার মতো অর্থ যোগাড় করতে পারবেন কি না তা খুব জটিল হিসাব নিকাশের বিষয়। তাই আপাত দৃষ্টিতে কোম্পানিটি কিনতে চাওয়া তার কৌতুক ছাড়া আর কিছু নয়।
কিন্তু ভবিষ্যতে যে তিনি কোকা-কোলা কিনতে পারবেন না, তা বলা একেবারেই মুশকিল। কারণ ২০১৭ সালে কমেডিয়ান ডেভ স্মিথের সঙ্গে পাল্টা টুইটে এর দাম জিজ্ঞেস করেছিলেন। আজ তিনি এটার মালিক।
কোকা-কোলা যখন ১৮৮৬ সালে চালু হয়, তখন এটি বিভিন্ন অসুস্থতার জন্য একটি টনিক হিসাবে ব্যবহার হতো। আর এর মধ্যে থাকতো কোকা পাতা আর কোরা বাদাম। কোকা পাতেই হলো কোকেইনের উৎস।