দুই প্রেমিকাকে একসঙ্গে বিয়ে করা সেই রনির কপালে এখন চিন্তার ভাঁজ

দুই প্রেমিকাকেই একসঙ্গে সিঁদুর পরিয়েছেন প্রেমিক রোহিনী চন্দ্র বর্মন রনি। তাদের বিয়েও হয়েছে তিন পরিবারের সম্মতিতে। খুশিও তারা। তবে এখনো রনির কপালে চিন্তার ভাঁজ।কারণ, চাকরি নেই তার। উপার্জনের কোনো পথও নেই। কিভাবে চলবে নতুন সংসার।

পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীদার এলাকার যামিনী চন্দ্র রায়ের ছেলে রোহিনী চন্দ্র বর্মন রনি। দুই কনের বাড়িও একই এলাকায়। পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে মেকানিক্যাল ট্রেডে ডিপ্লোমা করেছেন রনি। পড়ালেখা এখনো বাকি। এক ভাই এক বোনসহ চারজনের সংসারে যোগ হয়েছে আরো দুই নতুন মুখ। নিজে এখনো উপার্জন করতে না পারায় চিন্তিত রনি।

রোহিনী চন্দ্র বর্মন রনি বলেন, ‘তারা দুজনই আমাকে ভালোবাসে। তাই দুজনকেই বিয়ে করেছি। এই বিয়েতে আমরা খুশি। তবে চিন্তার বিষয়, আমি এখনো উপার্জন করতে পারি না। এখন চাকরি খুঁজতে হবে। ’

জানা যায়, ইতি রানীর ও মমতা রানীর সঙ্গে প্রেম চলছিল রনির। এর মধ্যে ইতির সঙ্গে তিন বছর এবং মমতার সঙ্গে পাঁচ মাসের প্রেম। দুজনকেই মন থেকে ভালোবাসেন। বিষয়টি জানাজানি হলে বুধবার রাতে দুই প্রেমিকার সিঁথিতে একসাথে সিঁদুর পরান এই যুবক।

গত ১২ এপ্রিল রাতে মমতার সঙ্গে দেখা করতে গেলে তার পরিবারের লোকজন রনিকে আটক করে রাখে। পরদিন ওই পরিবার তাদের বিয়ে দেয়। এ খবর শুনে ১৩ এপ্রিল সকাল থেকে প্রথম প্রেমিকা ইতি রনির বাড়িতে অবস্থান নিয়ে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেন।

দুই দিন পর মমতাসহ রনিকে তার বাড়িতে দিয়ে আসে মমতার পরিবারের লোকজন। এদিকে ইতির অনশন চলতেই থাকে। এক পর্যায়ে বুধবার রাতে রনির পরিবার বাধ্য হয়ে দুই প্রেমিকার সঙ্গেই রনির বিয়ে সম্পন্ন করে।

রনির বাবা যামিনী কান্ত বর্মন বলেন, ‘ঘটনাক্রমে এমনটি হয়ে গেছে। এখন আমরা দুই মেয়েকেই মেনে নিয়েছি। তাদের নিজের মেয়ের মতো করে গ্রহণ করেছি। তারা সুখে থাকলে আমরাও সুখি। তবে ছেলেটির একটা চাকরি হলে ভালো হতো। ’

স্থানীয় বাসিন্দা সুশীল চন্দ্র বর্মন বলেন, ‘আমাদের সমাজে সচরাচর এমন ঘটনা দেখা যায় না। দুই মেয়েই যেহেতু এক ছেলেকে চাচ্ছে, কেউ ছাড় দিচ্ছে না। তাই একসঙ্গেই তাদের বিয়ে দিয়েছে তাদের পরিবার। ’