তারা যে সরকার উৎখাত করতে চায় তাদের উদ্দেশ্যটা আসলে কী: প্রধানমন্ত্রী

বিএনপি-জামায়াত ও সরকার বিরোধীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তারা যে সরকার উৎখাত করতে চায় তাদের উদ্দেশ্যটা আসলে কী। আজ বুধবার (২০ এপ্রিল) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে কৃষক লীগের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ প্রশ্ন রাখেন। সভায় প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন। তিনি বলেন, আমাদের কিছু মানুষ বিদেশে নানাভাবে অপপ্রচার চালিয়ে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে ব্যস্ত, তারা সরকার উৎখাতে ব্যস্ত।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রাম পর্যায়ে মানুষ এই সরকারের মাধ্যমে উপকার পাচ্ছে, তারা যে সরকার উৎখাত করতে চায়, তাদের উদ্দেশ্য কী? আমার একটা প্রশ্ন- আমাদের অপরাধটা কী? এসময় প্রধানমন্ত্রী কৃষিখাতে তার সরকারের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন, কৃষিক্ষেত্রে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করেছি। পাঁচ বছর (২০২০-২৫) মেয়াদে ৩ হাজার ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ’ শীর্ষক একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছি।

এই প্রকল্পের আওতায় ১২ ক্যাটাগরিতে ৫১ হাজার ৩০০টি কৃষিযন্ত্র বিতরণ করা হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, কৃষক বন্ধু ফোন সেবা (৩৩৩১), কৃষকের জানালা, কৃষি কল সেন্টার (১৬১২৩) ইত্যাদির মাধ্যমে কৃষকদের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদানের ব্যবস্থা করেছি। কৃষি সেবাকে সহজে পৌঁছে দিতে ‘কৃষি বাতায়ন’ তৈরি করা হয়েছে। ৪৯৯টি কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ কেন্দ্র (এআইসিসি) স্থাপন, কৃষি কমিউনিটি রেডিও চালু, ই-কৃষি সেবায় ফসলের মাঠ থেকে ছবি তুলে অ্যাপের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিলেই সমস্যা চিহ্নিত করে সঙ্গে সঙ্গেই সমাধান দেওয়া হচ্ছে।

খাদদ্যশস্য উৎপাদনে বাংলাদেশের অভাবনীয় অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মাছ, মাংস ও ডিম উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। ইলিশ উৎপাদনে বিশ্বে প্রথম। আজ বিশ্বে বাংলাদেশ ধান উৎপাদনে ৩য়, সবজি উৎপাদনে ৩য়, পেঁয়াজ উৎপাদনে ৩য়, পাট উৎপাদনে ২য়, চা উৎপাদনে ৪র্থ এবং আলু ও আম উৎপাদনে ৭ম স্থান অর্জন। স্বাদু পানির মাছ উৎপাদনে ২য়।

সরকার কৃষির সঙ্গে পুষ্টির নিশ্চয়তা নিয়ে এখন বিশেষভাবে দৃষ্টি দিচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। আমরা শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় এনেছি। প্রতিটি ঘরে এখন বিদ্যুৎ। কৃষক এর উপকার পাচ্ছে। ২০১৮ সালে কৃষি নীতিমালা যুগোপযোগী করেছি। কৃষক যাতে তার উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পায়, সেই পদক্ষেপও নিয়েছি। কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা করছি। কোথাও কোনো দুর্যোগ দেখা দিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছি।