পরীমনির দায়ের করা যৌন হয়রানির মামলার মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর বিচারক মোহাম্মদ হেমায়েত উদ্দিনের আদালতে চার্জশুনানির জন্য ধার্য ছিল। শুনানি শেষে আদালত আসামিদের বিচার শুরু হবে কি না-সেই বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ১৮ মে তারিখ ধার্য করেন।
এদিন আসামিরা আদালতে তাঁদের আইনজীবীদের মাধ্যমে মামলার দায় হতে অব্যাহতির প্রার্থণা করেন। এ সময় পরীমনি আদালতের এজলাসে বাদীর ডকে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘বোট ক্লাবে রেপ করার জন্য আসামিদের কোনো রুমের প্রয়োজন হয় না। ফোন করলেই ক্লাবে লাইট বন্ধ হয়ে যায়। তাঁরা যেকোনো মেয়ের ওপর খোলা মাঠে ইচ্ছামতো ঝাঁপিয়ে পড়ে। ওখানে কোনো কন্ট্রোল নেই। তাঁরা আমাকে জোর করে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। রুমের লাইট, ফ্যান অফ (বন্ধ) করে হত্যার চেষ্টা করে।’
এরপরে পরীমনিকে বিচারক দ্রুত থামতে বলেন। তখন পরীমনি বলেন, ‘আমাকে সবাই থামতে বলে। কিন্তু আমাকে বলতে হবে। কারণ তাদের অনেক পাওয়ার।’ এরপরে বিচারক আসামিদের অব্যাহতির বিষয়ে ও অভিযোগ গঠনের আদেশের জন্য ১৮ মে দিন ধার্য করেন।
এদিকে পরীমনি আদালতের এজলাস থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছি। আমার সঠিক বিচার লাগবে। যেকোনো পরিস্থিতিতে আমি লড়ে যাব। সবাই আমাকে চুপ করার চেষ্টা করছিল। একজন র্যাপিস্ট যদি খোলা আকাশে-বাতাসে ঘুরে বেড়ায়, তাহলে আর্জি আর কি হবে। শারীরিক অবস্থা নিয়ে আদালতে আসার বিষয়ে জানতে চাইলে পরীমনি বলেন, ‘আমি অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছি। আমার সঠিক বিচার লাগবে। সঠিক বিচার চাই। যেকোনো পর্যায়ে আমি লড়ে যাব।’