বিয়ের পর প্রথমবার শ্বশুরবাড়ি কলকাতায় পহেলা বৈশাখ উদযাপন করছেন দেশের অভিনেত্রী ও উন্নয়নকর্মী রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা। নববর্ষের দিনে কলকাতায় থেকে তিনি মিস করছেন পান্তা ইলিশ, রমনা বটমূল, মঙ্গল শোভাযাত্রাসহ অনেক কিছুই। ভারতের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার জানাচ্ছে, মিথিলা এ বছর পহেলা বৈশাখ উদযাপন করছেন চলচ্চিত্র পরিচালক স্বামী সৃজিত এবং মেয়ে আয়রার সঙ্গে। সৃজিত পাঞ্জাবিতে বাঙালি বাবু সেজেছেন। মিথিলা সকালে স্নান সেরে, খোলা চুলে, লাল পেড়ে সাদা খোলের শাড়ি পরেছেন। কপালে লাল টিপ। বাংলা নতুন বছরের নতুন সূর্যের মতোই লাল টকটকে! তিনি কলকাতায় বসে মিস করছেন পান্তা-ইলিশ, রমনা পার্ক, নানা জেলার শোভাযাত্রা।
মিথিলার ভাষ্য, ‘এবার আমি এপার বাংলায়। বিয়ের পর এ বছরই আমি পহেলা বৈশাখে প্রথম শ্বশুরঘরে। এ বছর আমি শহর কলকাতায়। সেখানে পান্তা ভাত আর ইলিশ মাছ ভাজা থাকবে না। থাকবে না ঢাকার দিগন্তবিস্তৃত রমনা পার্ক। যার বটমূলে ভোর থেকে নানা জেলার শোভাযাত্রা এসে জমায়েত হয়। যেখানে গোটা ঢাকা শহর পাত পেড়ে বসে যায় পান্তা-ইলিশ খেতে। কলকাতা, তুমি কি আমায় দিতে পারবে আমার ‘দ্যাশ’-এর রমনা বটমূলের স্বাদ, গন্ধ, স্মৃতি?’
তিনি আরও বলেন, “আমাদের বাংলাদেশে বাংলা নববর্ষ জাতীয় স্তরের উৎসব। এক সপ্তাহ ধরে চলে তার প্রস্ততি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ছাত্র-ছাত্রীরা রাত জেগে বানান নানা ধরনের মুখোশ, পোস্টার, লতা-পাতায় সাজানো ফেস্টুন। সেই সব নিয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রা ভোর থেকে। সবার পরনে লাল পাড়, সাদা শাড়ি। কপালজুড়ে টিপ। গলায়, ‘এসো হে বৈশাখ গান’। সংসদ ভবনের সামনের লম্বা রাস্তাজুড়ে দেশের সবচেয়ে বড় আল্পনা। রমনা মাঠসহ সমস্ত উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে পান্তা-ইলিশ পর্ব। বন্ধু, পরিজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ। তার পরে বাড়ি ফিরে দুপুরে রকমারি ভর্তা দিয়ে ভাত। এগুলো যে না দেখেছে, সে বুঝবে না এর ভিতরে কতখানি শান্তি, তৃপ্তি লুকিয়ে।’
মেয়ে আইরাকেও বৈশাখী সাজ শিখিয়েছেন জানিয়ে মিথিলা বলেন, ‘আমার মেয়ে দুই বাংলার নববর্ষ দেখতে দেখতে বড় হচ্ছে। শিখেছে, ইংরেজির ১২ মাসের মতোই বাংলাতেও ১২ মাস রয়েছে। আর বাঙালির আছে ১২ মাসে তেরো পার্বণ। সেই পার্বণের শুরু পহেলা বৈশাখ দিয়ে। মেয়েকে আমার মতো করেই সাজতে শিখিয়েছি। আগামীতে পহেলা বৈশাখের ভোরে আইরার সাজেও যাতে থাকে লাল পেড়ে ঢাকাই শাড়ি। কপালে লাল টিপ।’