সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার সারা দিন শেষে গভীর রাত পর্যন্ত সোশ্যাল সাইটগুলোতে এ বিষয়ে চলেছে তুমুল চর্চা। বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন অভিনেত্রী সোহানা সাবাও। তিনি বলছেন, এর চেয়ে দ্বিগুণ সম্পর্কে ছেলেরা জড়িত থাকলে তাদের বাহবা দেওয়া হয়।
ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, এক তরুণীকে সারপ্রাইজ দিতে চাইছেন তার এক বন্ধু। দুই হাত দিয়ে তরুণীর চোখ বন্ধ করে ধরেন।
এরপর চোখ খুলে দেন, দেখা যায় ধীরে ধীরে রেস্তোরাঁয় একে একে পাঁচ তরুণ প্রবেশ করেন। এরপর ওই তরুণীকে ছয় যুবক নানা অভিযোগে অভিযুক্ত করেন। এসবের মধ্যে অন্যতম অভিযোগ, মেয়েটি নাকি একই সঙ্গে ছয় ছেলের সঙ্গেই প্রেমের সম্পর্ক চালিয়ে গেছেন।
‘স্টার গল্প’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে এমন একটি ভিডিও প্রচার করা হয়েছে। যেখানে দেখা গেছে, মিরপুরের ওই রেস্তোরাঁয় ছয় যুবক মিলে তরুণীর কাছে নানা প্রশ্নের জবাব চাইছেন। একসময় তরুণী হাত থেকে একটি বস্তু ছুড়ে মারেন। একসময় কান্নাও করে ফেলেন।
বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল প্রতিক্রিয়া চলছে। দিনভর এ ঘটনায় ট্রল, সমালোচনা, মিম চালানো হয়েছে। মেয়েটির ভিডিও ডাউনলোড করে আপলোড করা হয়েছে শত শত পেজে ও ফেসবুক অ্যাকাউন্টে। ইউটিউব ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও।
বিষয়টি নিয়ে অনেকেই নিজেদের অভিমত জানিয়েছেন। নেটিজেনদের বাইরে মিডিয়া অঙ্গনের অনেকেই কথা বলছেন। বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন অভিনেত্রী সোহানা সাবা। তিনি মনে করেন, ছেলেরা যদি একাধিক সম্পর্কে যুক্ত থাকে তাহলে মেয়েদের থাকতেও দোষ নেই। নিজের ফেসবুকে এমনটাই জানিয়ে লিখেছেন, ‘অথচ কত শত ছেলেরা…শুধুমাত্র ৬টা কেন-১২টা গার্লফ্রেন্ড মেইনটেইন করে। আবার এই আমরাই তাদের পিঠ চাপড়িয়ে বাহবা দেই..!’
বিষয়টি নিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. নাজমুল হক বলছেন, মেয়েটির অপরাধ থাকলেও আইন কেউ নিজের হাতে তুলে নিতে পারবে না। তিনি মনে করেন, অনলাইন হ্যারাজমেন্ট মোটেও কাম্য নয়।
সাইবার অপরাধ বিভাগের পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘যারা এই ভিডিও বা ছবি ছড়িয়েছে সেটা সাইবার অপরাধ। ওই মেয়ের ইথিক্যাল সমস্যা থাকলে সেটার সমাধান মোটেই অনলাইন হ্যারাজমেন্ট নয়। হয়তো ওই মেয়ের কাউন্সেলিং দরকার, তবে অন্যদের এভাবে হ্যারাজ করার অধিকার নেই, আইন তো নিজের হাতে তুলে নেওয়া যায় না!’
সূত্র : কালের কণ্ঠ