স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারে সবাইকে উদ্ধুদ্ধ করা হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার থেকে বলপ্রয়োগে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা নাগরিকের সংখ্যা প্রতি বছর ৩৫ হাজার করে বাড়ছে অর্থাৎ ৩৫ হাজার রোহিঙ্গা শিশু জন্মগ্রহণ করছে। আজ রবিবার (১০ এপ্রিল) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে রোহিঙ্গাদের সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও আইনশৃঙ্খলা সম্পর্কিত জাতীয় কমিটির সভা শেষে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেন, আমরা দেখেছি রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় জন্মহার আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই জায়গায় আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগকে বলবো, ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে বলবো- তারা যাতে সবাইকে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারে উদ্ধুদ্ধ করে।
সেজন্য আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে যাচ্ছি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রকৃতপক্ষে আমরা দেখতে পাচ্ছি, এখানে যে রোহিঙ্গারা এসেছে, প্রতি বছর তারা ৩৫ হাজার করে বেড়ে যাচ্ছে, শিশু জন্ম নিচ্ছে। পাঁচ বছরে দেড় লাখ বেড়ে গেছে। সেখানেও আমাদের একটি আশঙ্কার জায়গা। সেটা যাতে আমরা ট্যাকেল দিতে পারি, সেজন্য এসব ব্যবস্থার কথা আমরা চিন্তা-ভাবনা করছি।
তিনি বলেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের বাসিন্দারা যেন বাংলাদেশের পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে না পারে সে জন্য ইউএনএইচসিআরের ডাটাবেজ ব্যবহার করা হবে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে ক্যাম্পের ভেতরে পুলিশ, এপিবিএন, আনসার ও র্যাবের যৌথ টহল চলছে সেটা আরও জোরদার করা হবে। ক্যাম্পের বাইরে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করবে।
যদি অভিযানের প্রয়োজন হয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে করতে হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, উখিয়া ও টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভেতরে অবৈধভাবে স্থাপিত দোকান-পাট উচ্ছেদ করা হচ্ছে। তা চলমান থাকবে। ক্যাম্পের চারপাশ দিয়ে কাঁটা তারের বেড়া দেওয়ার জন্য সেনাবাহিনীকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছিল। সেটার প্রায় ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। পর্যবেক্ষণ টাওয়ার তৈরি করা হয়েছে। রাস্তা নির্মাণের কাজও শেষের দিকে।