‘পোস্ত’ ছবির হিন্দি রিমেকের শ্যুটিং শেষ। আর এই ছবির হাত ধরেই হিন্দি সিনেমার জগতে পা রাখলেন সাংসদ-অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী।এদিকে প্রায় দেড় মাস ধরে মুম্বাই-কলকাতা যাতায়াত চলেছে পরিচালক-প্রযোজক জুটি নন্দিতা রায়-শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের। এবার স্বস্তির নিশ্বাস ফেললেন ‘পোস্ত’র পরিচালকদ্বয়। উইন্ডোজ প্রোডাকশনস এবং ভায়াকম ১৮-এর যৌথ প্রযোজনায় তৈরি হলো নতুন হিন্দি ছবি ‘শাস্ত্রী বিরুদ্ধ শাস্ত্রী’।
ভারতীয় গণমাধ্যমকে শিবপ্রসাদ বলেন, এই প্রথম সর্বভারতীয় একটি প্রযোজনা সংস্থা ভায়াকম ১৮ বাংলার প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে ছবি বানিয়েছে। বাংলা চলচ্চিত্র জগতের জন্য এই হিন্দি ছবিটি যে সুখবর বয়ে আনবে, তা নিয়ে আমি আশাবাদী। বাংলার এটি একটি বড় খবর।
২০১৭ সালে ‘পোস্ত’ ছবির স্বাদে মজেছিলেন বাংলার দর্শক। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, মিমি চক্রবর্তী, যিশু সেনগুপ্ত, পরান বন্দ্যোপাধ্যায়ের রসায়ন বক্স অফিসেও বাজিমাত করেছিল। তবে ‘শাস্ত্রী বিরুদ্ধ শাস্ত্রী’-তে মিমি ছাড়া বাকি সবাই মুম্বাইয়ের অভিনেতা-অভিনেত্রী।
পরেশ রাওয়াল, নীনা কুলকার্নি, অম্রুতা সুভাষ, শিব পণ্ডিতের মতো বড় মাপের শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করে আপ্লুত শিবপ্রসাদ। তিনি বলেন, যারা ‘পোস্ত’ দেখেছেন, তারাও এই ছবিটি দেখে আনন্দ পাবেন। শুধুমাত্র পরেশ রাওয়ালের অভিনয় দেখার জন্যও ছবিটি দেখা উচিত। অবিশ্বাস্য অভিনয় করেছেন তিনি। বাকিরাও মঞ্চ এবং পর্দার নামকরা শিল্পী।
এই ছবিটিকে ভারতের ছোট সংস্করণ বলা যেতে পারে। বাংলার সঙ্গে হাত মিলিয়েছে পশ্চিম থেকে দক্ষিণ ভারতের বহু কলাকুশলী। পরেশ যেমন গুজরাটের মানুষ, ছবির চিত্রগ্রাহক সানু জন ভারগিস মালয়ালী। নীনা মহারাষ্ট্রীয়। ছবিতে এসে মিশেছে বিভিন্ন রাজ্যের সংস্কৃতি। উইন্ডোজের হিন্দি ছবিতে তাই অনুভূতি, অভিব্যক্তি, আবেগের বৈচিত্র্য দেখা দেবে।
সানু ভারগিস এই ছবিতে চিত্রগ্রাহকের কাজের সুযোগ পাওয়ার আগেই ‘পোস্ত’ ছবিটি দেখেছিলেন। ফলে পরিচালকদ্বয়ের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে তাল মেলাতে আরও সুবিধা হয়েছে তার। চিত্রগ্রাহকের প্রশংসায় পঞ্চমুখ শিবপ্রসাদও। দক্ষিণী ছবি ‘মালিক’, হিন্দি ছবি ‘বধাই হো’, ‘ওয়াজির’, কমল হাসন পরিচালিত ‘বিশ্বরূপম’-এর মতো ছবিতে ক্যামেরার দায়িত্ব ছিল সানুর। তিনিও এই প্রথম বাংলা ছবিতে।
‘পোস্ত’র শিশুশিল্পীর পরিবর্তে এখানে অভিনয় করেছে ছোট্ট কবীর পওয়া। দিল্লিবাসী খুদে শিল্পী কবীর এই প্রথম পর্দায় অভিনয় করলো। কিন্তু তার অভিনয়েও মুগ্ধ শিবপ্রসাদ।