বিএনপির আমলে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পথে ছিল বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। সরকারের চলমান উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদার আমলে শিক্ষা ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পথে ছিল। অথচ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শিক্ষার আলো ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে। এখন আমরা শতভাগ বিদ্যুতায়নের দেশ। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগে দেশের মানুষ বিদ্যুতের আলো দেখেনি। কিন্তু শেখ হাসিনার আমলে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রত্যেকটি ঘর বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতার জন্য অপেক্ষা করতে হয় না। মাসের শুরুতেই তাদের মোবাইল ফোনে ম্যাসেজ চলে যায় টাকা এসেছে।’
রাজধানী মুগদায় আজ বুধবার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ৭১ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত ইউনিট সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘বিএনপি, জামায়াত ও হেফাজত একই মায়ের পেটের তিন ভাই। বিএনপি-জামায়াত থেকে আমাদেরকে সতর্ক থাকতে। জামায়াত এখন গর্তে ঢুকেছে। বিপদ দেখলেই তারা গর্তে ঢোকে। বিপদ কেটে গেলে গর্ত থেকে বের হয়ে আবারও ষড়যন্ত্র শুরু করে। তাদের কাছ থেকে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয়ের কোনো বিকল্প নেই। নির্বাচন এলেই তাদের ষড়যন্ত্র শুরু হয়ে যায়। মিথ্যার আশ্রয় নেয়। ষড়যন্ত্রের জাল বোনে। নির্বাচনের জয় নিশ্চিত করতে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হবে। মনে রাখতে হবে, নির্বাচনে আমরা হেরে গেলে হেরে যাবে দেশের স্বাধীনতা, হেরে যাবে মানবতা। দেশের মানুষের জীবন অনিশ্চিত হয়ে যাবে। তাই নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে। দলকে সুসংগঠিত করতে হবে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে যেকোনো পরিস্থিতির মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত হতে হবে।’
আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, ‘বিএনপির নেতাদের লজ্জা-শরম চলে গেছে। তারা মনে করে বাঙালি জাতির ভুলে যায়। তারা হয়তো ভুলে গেছে, সেদিন একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার কথা। কিন্তু বাঙালি জাতি ভোলেনি। নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করেছেন। কারা সেই পরিকল্পনা করেছে? সেদিন রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে খালেদা জিয়ার সন্তান তারেক রহমান হাওয়া ভবনে পরিকল্পনা করে সেদিন গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে। সে হামলায় আওয়ামী লীগের অসংখ্য নেতাকর্মী এখনও বিকলাঙ্গ হয়ে আছেন। মৃত্যুযন্ত্রণায় ভুগছেন। ২৪ জন আমাদের দলের নিবেদিতপ্রাণ নিহত হয়েছেন। বিএনপির ভুলে গেলেও এই দেশের জনগণ সেই হামলার ঘটনা কখনোই ভুলবে না।’