দুই সন্তান রেখে টাকা-গহনা নিয়ে প্রেমিকের সাথে উধাও প্রবাসীর স্ত্রী

দুই সন্তান রেখে প্রবাসী স্বামীর টাকা ও গহনা নিয়ে প্রেমিকের সাথে পালিয়ে গেছেন আকলিমা বেগম (২৮) নামে এক গৃহবধূ। ঘটনাটি কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার টান কৃষ্ণনগর এলাকার।

প্রেমিকের নাম আব্দুল খালিদ (৩০)। তিনি গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার বাড়ইপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে। আকলিমার স্বামীর নাম মো. হোসেন মিয়া (৩৫)। তিনি দীর্ঘদিন যাবত লিবিয়া প্রবাসী।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত রবিবার সকালে আকলিমা বেড়ানোর কথা বলে বাসা থেকে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় সোমবার রাতে প্রবাসী হোসেন মিয়ার মা (আকলিমার শাশুড়ি) বাদী হয়ে ভৈরব থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগে জানা গেছে, ভৈরব উপজেলার টান কৃষ্ণনগর গ্রামের ছাদেক মিয়ার ছেলে হোসেন মিয়া একই উপজেলার গোছামারা গ্রামের সালাম মিয়ার মেয়েকে প্রায় ১২ বছর আগে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে একটি পুত্র ও একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। লিবিয়া প্রবাসী হোসেন মিয়া এক/ দুই বছর পর পর লিবিয়া থেকে দেশে আসেন।

দীর্ঘদিন যাবত লিবিয়া থাকা অবস্থায় আয়ের লাখ লাখ টাকা স্ত্রীর কাছে পাঠাতেন। এরই মধ্যে নিকটআত্মীয় আব্দুল খালিদের সাথে ফেসবুকে তার প্রেমের সম্পর্ক হয় আকলিমার। স্বামীর অনুপস্থিতিতে প্রেমিকের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে উঠে।

ঘটনা জেনে স্বামী বিদেশ থেকে স্ত্রীকে সতর্ক করলেও থেমে থাকেনি তাদের অনৈতিক সম্পর্ক ও মেলামেশা। এরই সূত্র ধরে গত রবিবার প্রেমিক খালিদের হাত ধরে বাসা থেকে বেড়ানোর কথা বলে পালিয়ে যান আকলিমা।

বাসা থেকে যাওয়ার সময় আকলিমা ২০ লাখ টাকা ও ৮ লাখ টাকা মূল্যের ১২ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যান বলে শাশুড়ির অভিযোগ। আকলিমার শাশুড়ি ও মামলার বাদী হালিমা বেগম জানান, আমার ছেলের প্রবাস সময়ের ১২ বছরের আয় তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাবে বিশ্বাস করে পাঠিয়েছে। গহনা ছিল ১২ ভরি। এই গহনা আলমারিতে নেই। সব নিয়ে প্রেমিক খালিদের সাথে বেড়ানোর কথা বলে পালিয়ে গেছে।

তাদের দুটি শিশু সন্তান রয়েছে। সন্তানকে আমার কাছে রেখে আকলিমা পালিয়েছে। আমি এখন বিপদে আছি। তাই থানায় এ বিষয়ে অভিযোগ দিয়েছি। আমি আমার ছেলের টাকা-পয়সা ও গহনা ফেরতসহ বিচার চাই।

ভৈরব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহ আলম জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।