ইবাদত পালনের অন্যতম স্থান হল মসজিদ। যা ঈমানের পরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও মর্যাদাপূর্ণ। আর সেই মসজিদ থেকেই চুরি হল ব্যাটারি। বরগুনার তালতলীতে মসজিদের ব্যাটারি চু;রি করায় কাজী ডেকে স্বামীকে তা;লাক দিয়েছেন স্ত্রী। শনিবার ২৬ মার্চ তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের বড়ইতলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
২০০০ সালে নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের বড়ইতলী আবাসেনর বাসিন্দা মাসুমা বেগমের (৪৬) প্রথম স্বামী সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়। এরপর ২০০৭ সালে বরগুনার বেতাগী উপজেলার সরিষামুড়ি ইউনিয়নের শাহজাহান হাওলাদারের ছেলে ফোরকানের সঙ্গে মাসুমার দ্বিতীয় বিয়ে হয়। তারপর থেকেই আবাসনে বসবাস শুরু করেন তারা। বিয়ের পর থেকেই ফোরকান কোনো কাজকর্ম না করে বিভিন্ন স্থানে স্ত্রীর অজান্তে চুরি করতেন বলে জানা যায়।
তবে বিভিন্ন সময়ে সংসারে ঝামেলা থাকত। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার ভোরে উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের মধ্য পাওয়াপাড়া জামে মসজিদ ও পাওয়াপড়া দোকানঘাট জামে মসজিদ থেকে তিনটি সৌর বিদ্যুতের ব্যাটারি চুরি করে ফোরকান। ব্যাটারিগুলো প্লাস্টিকের বস্তায় করে বিক্রির উদ্দেশে বরগুনা যাওয়ার পথে ছোট বগী খেয়াঘাট বসে স্থানীয়
স্বপন মৃধার সন্দেহ হয়। এরপর তার নাম ও ইউপি সদস্যকে সেটা জানতে চেয়ে ফোরকানকে জিজ্ঞেস করেন। তখন নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম জোমাদ্দারের কাছে ফোন দিলে তিনি
ফোরকানকে আটক করেন। এরপর স্থানীয়রা আটক করলে ফোরকান স্বীকার করেন এই ব্যাটারি মসজিদ থেকে তিনি চুরি করেছে। পরে ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম জোমাদ্দার ও মসজিদ কমিটির কাছে ফোরকানকে হস্তান্তর করেন।
এদিকে এ নিয়ে বড়ইতলী আবাসনে স্থানীয়ভাবে সালিশ মীমাংসার জন্য বৈঠক বসা হয়। ওই বৈঠকে স্বামী ফোরকান মসজিদের ব্যাটারি চুরি করার অপরাধে তার সঙ্গে স্ত্রী মাসুমা বেগম সংসার না করার সিদ্ধান্ত নেয়।
পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের ও ইউপি সদস্যদের উপস্থিতিতে ওই ইউনিয়নের কাজী মহিবুল্লাহকে ডেকে স্বামীকে তালাক দেন স্ত্রী। পরে ব্যাটারিগুলো মসজিদ কমিটিকে ফেরত দেওয়া হয়েছে ও ফোরকানকে পুলিশে না দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
স্ত্রী মাসুমা বেগম বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর ঘর মসজিদ থেকে ব্যাটারি চুরি করতে পারে, তার সঙ্গে আর যাই হোক সংসার করা যায় না। এ জন্য কাজি থেকে তাকে তালাক দিয়েছি।