মামলা করবে না গুলিতে নিহত কলেজছাত্রীর বাবা

রাজধানীর শাহজাহানপুরে ইসলামিয়া হাসপাতালের সামনে দুর্বৃত্তদের গুলিতে কলেজছাত্রী সুমাইয়া আফরিন প্রীতি (২২) নিহতের ঘটনায় কোনো মামলা করবে না বলে জানিয়েছে তার পরিবার। শুক্রবার (২৫ মার্চ) দুপুরে প্রীতির বাবা মোহাম্মদ জামান উদ্দিন বিষয়টি জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, আমার মেয়ের হত্যার ঘটনায় মামলা করবো না। আমরা সাধারণ পরিবারের ও নিরীহ মানুষ। আল্লাহ আছে একজন, তিনিই দেখবেন। প্রীতির বাবা জামান উদ্দিন আরও বলেন, আমি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। তাই সাধারণ জীবন-যাপন করি। বিচার চেয়েই বা কী হবে? কার বিরুদ্ধে মামলা করবো? কেউ যদি সহযোগিতা করে সেটা ভিন্ন বিষয়। তিনি বলেন, প্রীতি বদরুন্নেসা কলেজে ইন্টারমিডিয়েটে পড়ে। পরিবারের অবস্থা বিবেচনা করে প্রীতি নিজে চাকরির চেষ্টা করছিল৷ ১৫ হাজার টাকায় একটা অফিসে চাকরি নিয়েছিল। সামনের মাসে জয়েন করার কথা ছিল মেয়েটার। কিন্তু সেটা আর হলো না।

এদিকে এ ঘটনায় নিহত আওয়ামী লীগ নেতা টিপুর স্ত্রী ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১১, ১২, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফারহানা ইসলাম ডলি বাদী হয়ে শাজাহানপুর থানায় মামলা করেছেন। শুক্রবার সকালে শাহজাহানপুর থানায় করা এ মামলায় তিনি কারও নাম উল্লেখ করেননি। অজ্ঞতা আসামি হিসেবে মামলা করেছেন ডলি।

মামলার এজাহারে টিপুর স্ত্রী অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১০টার দিকে শাহজাহানপুর থানাধীন ২০২ উত্তর শাহজাহানপুর মানামা ভবনস্থ বাটার দোকানের সামনে পৌঁছামাত্র অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা হামলা করে। তারা আমার স্বামী জাহিদুল ইসলাম টিপুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি করে। জাহিদুল ইসলাম টিপু মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন জানিয়েছেন। আর প্রীতি রাজধানীর বদরুন্নেছা সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী।

জানা গেছে, ঘটনার সময় টিপু গাড়িতে ছিলেন। গুলিতে তার গাড়িচালক মনির হোসেন মুন্না (২৬) আহত হয়েছেন। এছাড়া শিক্ষার্থী প্রীতি রিকশায় ছিলেন। সেখানেই গুলিবিদ্ধ হন তিনি। রাত সোয়া ১১টার দিকে তাদের তিনজনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত মুন্না সেখানে চিকিৎসাধীন।