জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ইউক্রেনের পক্ষে ভোট দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, কোনো চাপের মুখে জাতিসংঘে ইউক্রেনের পক্ষে বাংলাদেশ ভোট দেয়নি। মন্ত্রী বলেন, ইউক্রেনকে মানবতার পক্ষে ভোট দিয়েছে বাংলাদেশ। আজ শুক্রবার (২৫ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানীর আগারগাওঁয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভোটাভুটি ছিল মানবিক সহায়তার জন্য। ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতে বাস্তুচ্যুত মানুষের পক্ষে ভোট দিয়েছে বাংলাদেশ। এই ইস্যুতে আগের অবস্থানের পরিবর্তন হয়নি। মন্ত্রী আরও বলেন, যেকোনো যুদ্ধে সাধারণ নাগরিক সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং এটি আমরা আমাদের অভিজ্ঞতা থেকেই জানি। এজন্য আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষে ভোট দিয়েছি। আমরা চাই, যারা নির্যাতিত হয়েছে তারা সবধরনের সুবিধা পাক। সেজন্যই আমরা এ প্রস্তাবে রাজি হয়েছি।
এর আগে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলায় সৃষ্ট মানবিক সংকট নিরসনে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তাবে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে আনা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে বাংলাদেশ। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে প্রস্তাবটি আনা হয়। এ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে বাংলাদেশসহ ১৪০টি দেশ। এদিন ইউক্রেনে রুশ হামলার সমালোচনা করে এ প্রস্তাব আনা হয়।
রাশিয়া, বেলারুশ, ইরিত্রিয়া, উত্তর কোরিয়া ও সিরিয়া ইউক্রেনের বিপক্ষে ভোট দেয়। তবে চীনসহ ৩৮টি দেশ ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকে। সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে পাস হওয়া এ প্রস্তাব মানার বাধ্যবাধকতা নেই রাশিয়ার। এর আগেও ২ মার্চ ইউক্রেনে হামলা বন্ধে প্রস্তাব পাস হয় সাধারণ পরিষদে। তখন পক্ষে ভোট দিয়েছিল ১৪১টি দেশ। তখন বাংলাদেশ ভোটদানে বিরত ছিল।