‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ সিনেমার ইস্যুতে বিবেক অগ্নিহোত্রীর নাম চারদিকে শোনা যাচ্ছে। কেননা তিনি সিনেমাটির পরিচালক। ভারতজুড়ে এই সিনেমা ঝড় তুলেছে। বক্স অফিসে রেকর্ড সৃষ্টি করে মাত্র নয় দিনেই প্রায় দেড়শ কোটি রুপি আয় করেছে এটি।
চারদিকে যখন বিবেকের প্রশংসার জোয়ার বইছে। তখন সামনে এসেছে কয়েক বছর আগের একটি অভিযোগ। যেখানে তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্ত।
‘আশিক বানায়া আপনে’ খ্যাত অভিনেত্রী তনুশ্রী। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অম্ল-মধুর বহু অভিজ্ঞতা হয়েছে। শিকার হয়েছেন যৌন হেনস্তারও। ভয়ে চুপ না থেকে সাহসী হয়ে প্রকাশ্যে আনেন সেই অভিজ্ঞতার কথা। ২০১৮ সালে বিবেক অগ্নিহোত্রীর বিরুদ্ধে হেনস্তার অভিযোগ তোলেন তিনি।
তবে ঘটনাটি ২০০৫ সালের। তখন বলিউডে তনুশ্রী নবীন শিল্পী। ‘চকলেট: ডিপ ডার্ক সিক্রেটস’ সিনেমার শ্যুটিংয়ের সময়ই তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়। তনুশ্রী বলেন, ‘‘আমার শট ছিল না। আমি ক্যামেরার পেছনে দাঁড়িয়ে দেখছিলাম। ইরফান খানের মুখের ক্লোজআপ শট নেওয়া হচ্ছিল। আমি নিজের পোশাকের উপর একটি তোয়ালে জড়িয়ে দৃশ্যটি দেখছিলাম। হঠাৎ পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী আমাকে বলেন, ‘যাও, ইরফানের সামনে গিয়ে কাপড় খুলে নাচো। তাহলে ইরফানের সুবিধা হবে অভিনয় করতে।’’
তনুশ্রী আরও বলেন, “আমি হতবাক হয়ে যাই এটা শুনে। কিন্তু ইরফান আমাকে রক্ষা করেন। তিনি বলেন, ‘আমার সাহায্যের প্রয়োজন নেই। আমি অভিনেতা। কিছু না দেখলেও প্রয়োজনীয় অভিব্যক্তি ফুটে উঠবে আমার মুখে। কী সব বলছ তুমি? কাউকে কাপড় খুলে আমার সামনে নাচতে হবে না!’’
ওই সেটে ছিলেন সুনীল শেঠিও। তিনিও তনুশ্রীর পাশে দাঁড়ান। সে কথা মনে করে তনুশ্রী বলেন, ‘ইরফান ও সুনীলের মতো মানুষের জন্যই আজও বলিউডের ওপর থেকে পুরোপুরি বিশ্বাস হারাইনি আমি।’
যদিও তনুশ্রীর এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেন বিবেক অগ্নিহোত্রী। তিনি বলেছিলেন, ‘জনপ্রিয়তা অর্জন করার জন্য এবং আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য এসব কথা বলা হয়েছে। আদতে সব মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।’
উল্লেখ্য, ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ মুক্তির আগে বিবেক অগ্নিহোত্রী তেমন পরিচিত ছিলেন না। বিভিন্ন বিতর্ক ছাড়া তার নাম চর্চায় আসত না। তাই নতুন সিনেমার সাফল্যের ফাঁকে অতীতের ঘটনাও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।