বড় সংগ্রহের আশা দেখিয়েও অল্পতেই থামল কুমিল্লা

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ফাইনালে ফরচুন বরিশালকে ১৫২ রানের টার্গেট দিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। শুক্রবার মিরপুরের শেরে বাংলায় টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে কুমিল্লা। পুরো ২০ ওভার খেলে ৯ উইকেট হারিয়ে ইমরুল কায়েসের দল ১৫১ রান করতে সমর্থ হয়।

কিন্তু ম্যাচের শুরুতে সুনিল নারিনের ব্যাটিং তাণ্ডবে উড়ন্ত সূচনা পায় ভিক্টোরিয়ান্স। তিনি ২৩ বল খেলে ৫৭ রান করে আউট হওয়ার পর কুমিল্লার ব্যাটিংয়ে ধস নামে।

ম্যাচটিতে প্রথম তিন ওভারেই ৪০ রান তোলে কুমিল্লা। এরপর প্রথম ১০ ওভারে করে ৯৪ রান। কিন্তু ওপনার সুনীল নারিন দলকে যে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন সেটি ধরে রাখতে পারেননি পরে ব্যাট করতে নামা বাকি ব্যাটসম্যানরা। ফলে বড় সংগ্রহের আশা দেখালেও তা করতে পারেনি কুমিল্লা।

একে একে ফিরে যান ফাফ ডু প্লেসি, ইমরুল কায়েস। ডু প্লেসি ৭ বল খেলে মাত্র ৪ রান করে আউট হন মুজিব উর রহমানের বলে। অন্যদিকে অধিনায়ক ইমরুল কায়েস ১২ বল খেলে ১২ রান করে সাজ ঘরে ফেরেন ডোয়াইন ব্রাভোর বলে। এরপর ক্রিজে আসা আরিফুল হক কোনো রান করার আগেই মুজিবের বোল্ড আউট হয়ে ফিরে যান।

নিজেদের ইনিংসের শেষ ১০ ওভারে ধুঁকতে থাকে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। দলের বাকিরা যখন আসা যাওয়ার মিছিলে যোগ দেন তখন মাটি কামড়ে ধরে কিছু রান তোলার চেষ্টা করেন মঈন আলী ও আবু হায়দার রনি। তবে দুইজনই খুব ধীরগতিতে খেলেন। মঈন আলী শেষ দিকে আবার কিছুটা মারমুখী হয়ে ওঠেন। মঈনের ব্যাট থেকে আসে ৩৮ রান। শেষ ওভারে সাকিবের করা থ্রোয়ে রান আউট হন তিনি। অন্যদিকে আবু হায়দার রনি শেষ ওভারেই ২৭ বল খেলে ১৯ রান করে আউট হন।

পেসার শফিকুল ইসলাম বরিশালের হয়ে শেষ ওভারটি করতে আসেন। আর তার এ ওভারেই তিনটি উইকেটের পতন হয়। এর আগে কুমিল্লার প্রথম উইকেটের পতন হয় লিটন দাস আউট হওয়ার মাধ্যমে। লিটন ৬ বল খেলে মাত্র ৪ রান করে সাকিব আল হাসানের বলে বোল্ড আউট হন। লিটন আউট হলেও নারিন ক্রিজে থাকায় ওই সময় দলে এর কোনো প্রভাব পড়েনি।