নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিপুল ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন টানা দুইবারের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী। ১৯২টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৫০টি কেন্দ্রের ফলাফলে নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি অর্ধ লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন।
রবিবার সকাল আটটা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলে। ১৯২টি কেন্দ্রেই ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হয়।
সবশেষ খবর অনুযায়ী, ১৯২টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৫০টি কেন্দ্রে নৌকার প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী পেয়েছেন এক লাখ ২৬ হাজার ৯৯৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিন্দ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার হাতী প্রতীকে পেয়েছেন ৭২ হাজার ৩৭৩ ভোট। এখন পর্যন্ত ৫৪ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে আছেন আইভী।
মেয়র পদে নির্বাচন করেছেন সাতজন। বাকি পাঁচজন হলেন খেলাফত মজলিসের এ বি এম সিরাজুল মামুন (দেয়াল ঘড়ি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মোহাম্মদ মাছুম বিল্লাহ (হাতপাখা), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন (বটগাছ), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মোহাম্মদ রাশেদ ফেরদৌস (হাতঘড়ি) ও স্বতন্ত্র কামরুল ইসলাম বাবু (ঘোড়া)।
তবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী (নৌকা) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারকে (হাতি) নিয়েই দেশব্যাপী বেশি আলোচনা ছিল।
এর আগে ২০১১ সালের প্রথম সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী ছিলেন শামীম ওসমান, বিএনপির সমর্থিত ছিলেন তৈমূর আলম খন্দকার, স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন সেলিনা হায়া’ আইভী। নির্বাচনের আগের রাতে বিএনপির নির্দেশে ভোট থেকে সরে দাঁড়ান তৈমূর। নির্বাচনে এক লাখ বেশি ভোটের ব্যবধানে শামীম ওসমানকে হারান আইভী।
২০১৬ সালে এই সিটির দ্বিতীয় নির্বাচনে প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে ভোট হয়। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনয়নের জন্য তৃণমূল থেকে আইভীকে বাদ দিয়ে প্রার্থী তালিকা পাঠানো হয়। পরে প্রধানমন্ত্রী শামীম ওসমান ও আইভীকে ডেকে নিযে সমঝোতা করে দেন। মনোনয়ন পান আইভী। সেই নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেনকে ৮০ হাজারের বেশি ভোটে তিনি পরাজিত করেন। এবারের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে তিনি হ্যাটট্রিক করার পথে।
সূত্র : ঢাকা টাইমস