অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে বাস চলাচলের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে সরকার। পরিবহণ মালিকদের দাবি মেনে আগামী শনিবার থেকে যত আসন তত যাত্রী নিয়েই বাস চলাচল করবে। তবে, কোনোভাবেই বাসে দাঁড়িয়ে যাত্রী নেওয়া যাবে না। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকা সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, ‘সবকিছু খোলা রেখে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে বাস চালালে গণপরিবহণ সংকট তৈরি হবে। যাত্রীরা বাস পাবে না। আজ বিআরটিএর চেয়ারম্যান মৌখিকভাবে যত আসন তত যাত্রী নিয়ে বাস চালানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সিদ্ধান্তটি সমিতির সদস্যদের চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে।’
এনায়েত উল্লাহ চিঠিতে আরও বলেন, ‘বাসে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। গাড়ির চালক, সহকারী ও যাত্রীদের বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরতে হবে। বাসের কর্মীদের করোনার টিকা নেওয়ার সনদপত্র সঙ্গে রাখতে হবে। কোনোভাবেই গাড়িতে দাঁড়ানো যাত্রী বহন করা যাবে না।’
গতকাল বুধবার বনানীতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) প্রধান কার্যালয়ে পরিবহণ মালিক ও শ্রমিকনেতাদের সঙ্গে কর্মকর্তাদের বৈঠক হয়।
সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা মেনে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে আগামী শনিবার থেকে বাস চলাচল করবে। এ জন্য ভাড়া বাড়ানো হবে না।
সভায় পরিবহণ মালিক ও শ্রমিকনেতারা বলেন, সবকিছু খোলা রেখে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে বাস চালালে গণপরিবহণ সংকট তৈরি হবে। যত আসন তত যাত্রী পরিবহণ করলে সংকট কিছুটা কম হবে। পরিবহণমালিক-শ্রমিকেরা আর্থিকভাবে কম ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
বিআরটিএর চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার তখন পরিবহণ খাতের নেতাদের আশ্বস্ত করেন, তাঁদের দাবিটি প্রস্তাব আকারে সড়ক পরিবহণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। তারা সরকারের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে কথা বলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে।
করোনা সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় সরকার ১১ দফা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। আজ বৃহস্পতিবার থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত দেশবাসীকে এসব বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে। এসব বিধিনিষেধের মধ্যে রয়েছে উন্মুক্ত স্থানে সব ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও সমাবেশ বন্ধ রাখা অন্যতম। গণপরিবহণে যাত্রী পরিবহণ নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে সড়ক পরিবহণ মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছিল।