সাকরাইন উৎসবে ‘আতশবাজি-ফানুসে’ নিষেধাজ্ঞা

এবারের পৌষ-সংক্রান্তি বা সাকরাইন উৎসবে আতশবাজি ও ফানুস ওড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) সাকরাইন উৎসব উদযাপন করা হবে। মূলত পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় নাটাই-ঘুড়ি, আতশবাজি ও ফানুস উড়িয়ে এ উৎসব উদযাপন করা হয়।

এর আগে মঙ্গলবার সাকরাইন তথা ঘুড়ি উৎসবে ডিজে পার্টি, আতশবাজি, ফানুস ও মাদক নিষিদ্ধের কার্যকরী নীতিমালা চেয়ে ডিএমপি কমিশনার বরাবর চিঠি দিয়েছেন পুরান ঢাকার ৮৩ জন ব্যবসায়ী ও বাড়িওয়ালা।

থার্টিফাস্ট নাইটে (৩১ ডিসেম্বর, ২০২১) রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আতশবাজি ও ফানুসের আগুনে বিভিন্ন এলাকার বাসাবাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতিও হয়েছে। একইসঙ্গে ওই রাতে ফায়ার সার্ভিস ও জাতীয় জরুরিসেবা ৯৯৯-এর হটলাইন নম্বরগুলো ব্যস্ত হয়ে পড়ে। মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যে সারাদেশ থেকে প্রায় ২০০টি অগ্নিকাণ্ডের খবর আসে ফায়ার সার্ভিস ও ৯৯৯-এর কন্ট্রোল রুমে।

ফায়ার সার্ভিস প্রাথমিক তদন্তে জানতে পারে, এসব অগ্নিকাণ্ডের বেশিরভাগই ঘটেছে ফানুসের কারণে। তবে কয়েকটি অগ্নিকাণ্ড আতশবাজির কারণে হয়েছে বলে জানা গেছে।

এদিকে ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমে বলেন, ‘আমরা সাকরাইন উৎসবে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। আর যেন এভাবে উদযাপন করা না হয়, সেজন্য পুরান ঢাকার বিভিন্ন কমিউনিটির নেতাদের সঙ্গে কথা বলব। মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এ ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করা কঠিন। আমরা পুরান ঢাকার সর্দারদের নিয়ে বসে এ বিষয়ে কথা বলবো, পাশাপাশি এগুলো বন্ধের উদ্যোগ নিচ্ছি।’

ফায়ার সার্ভিস বলছে, শৈত্যপ্রবাহ কিংবা বাতাস নয়। ঢাকা শহরের মতো ঘনবসতি এলাকায় ফানুস ওড়ানোর কারণে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সৃষ্টি করতে পারে। থার্টি ফার্স্ট নাইটে ওড়ানো ফানুসগুলো যদি রাজধানীর কোনো বস্তি এলাকায় পড়তো, তাহলে দেশ আরও ভয়াবহ অগ্নিদুর্ঘটনার সাক্ষী হতো। তাই নববর্ষ উদযাপনে ফানুস ওড়ানো বন্ধ চায় ফায়ার সার্ভিস।

সূত্র : ঢাকাটাইমস