১১ দফা বিধিনিষেধ না মানলে হতে পারে জেল-জরিমানা

নতুন করে করোনার সংক্রমণ বিস্তার রোধে আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে ১১ দফার বিধিনিষেধ। এসময় প্রতিটি কর্মক্ষেত্রে মাস্ক পরতে হবে। বন্ধ থাকবে সভা-সমাবেশ। বাস-ট্রেন-লঞ্চে মাস্ক পরিধান ছাড়া চলাচল করা যাবে না। এসব নির্দেশনা কেউ না মানলে তাকে জেল-জরিমানার মুখে পড়তে হবে।

বুধবার রাজধানীর মহাখালীতে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান সার্জনে (বিসিপিএস) কোরিয়া থেকে পাওয়া অ্যাম্বুলেন্সসহ অন্যান্য মেডিকেল উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের করোনা পরিস্থিতি যাতে আমেরিকা ও ইউরোপের মতো না হয় সেজন্য ১১ দফা বিধিনিষেধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এসব বিধিনিষেধ আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) থেকে কার্যকর হবে।

জাহিদ মালেক বলেন, দেশের স্বাস্থ্যসেবাকে এগিয়ে নিতে ৭২টি হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হবে। যা মুমূর্ষু রোগীদের জন্য অনেক কাজে দেবে। এসবের পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবাকে আরও উন্নত করতে ল্যাপটপ ও ডেস্কটপগুলো দেওয়া হচ্ছে। পুরো স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকেই আধুনিকায়ন করা হবে। যেখানে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, দেশে বুধবার করোনা রোগী শনাক্তের হার যেখানে ছিল ৯ শতাংশে, তা বৃহস্পতিবার ১১ শতাংশে উঠেছে। ১০-১৫ দিন আগেও শনাক্ত রোগী দুই থেকে আড়াইশ জন থাকলে এখন সেটি তিন হাজারের কাছাকাছি।

জাহিদ মালেক বলেন, কিছুদিন আগেও হাসপাতালে রোগী ছিল আড়াইশ মতো। আর এখন তা বেড়ে হাজার ছাড়িয়েছে। এটি আরও বাড়বে। এতে করে মৃত্যুও বাড়বে। আবারও চিকিৎসকদের সেবা দিতে হিমশিম খেতে হবে। এটা বাড়লে বেকায়দায় পড়তে হবে। এরই মধ্যে ২০ হাজার শয্যা প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে, যা আগেই ছিল।

দেশে কোভিড টিকাদানের বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এরইমধ্যে দেশে দুই ডোজ মিলে ১৪ কোটি টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ডোজ আট কোটি ও দ্বিতীয় ডোজ ছয় কোটি। এছাড়া শিক্ষার্থীদের কোটির বেশি দিতে হবে, এরই মধ্যে যা ৬৮ হাজার হয়েছে। স্কুল-কলেজে টিকা ছাড়া না যাওয়ার সিদ্ধান্তের পর টিকা নেওয়ার হার বেড়েছে।