মিডিয়ায় এনেও ইয়াসিন আরাফাত ওরফে অপু ভাইকে ছুড়ে ফেলা হয়েছে, এমনটাই দাবি করেছেন টিকটক ও লাইকির জনপ্রিয় এই কিশোর। কিছুদিন আগে চিত্র পরিচালক অনন্য মামুন ওয়েব সিরিজে অপুকে অভিষিক্ত করার ঘোষণা দেন। পরে চার মাস বসিয়ে রেখেও কোনো কাজ দেননি এই কিশোরকে।
একটি লাইভ অনুষ্ঠানে এসে পরিচালকের বিরুদ্ধে কথা না বললেও পরোক্ষভাবে অনন্য মামুনকে নানা প্রশ্নের তীরে বিদ্ধ করেন। এ সময় অপু জানান, পরিবারকে চালাতে হয় তাঁকে, তার পরেও চার মাস বসিয়ে রাখায় বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তিনি।
তবে এ বিষয়ে অনন্য মামুন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বিষয়টি তেমন নয়। আমি তাঁকে নিয়ে এসেছি, যে সম্মানটা দিতে চেয়েছি ও সেটা নিতে পারেনি।’
অনন্য মামুন বলেন, ‘আসলে আমি ওর বিষয়ে কোনো মন্তব্যই করতে চাচ্ছিলাম না। শুধু এতটুকু বলি, ওর সঙ্গে আমার যে চুক্তি হয়েছিল, ওই চার মাসের মধ্যে কোথাও কোনো কাজ করতে পারবে না। কিন্তু দেখা গেল চুক্তির পরপরই অন্যত্র মিউজিক ভিডিও করে বেড়াচ্ছে। যদি এটাই করে, তাহলে আমি তাঁকে নিয়ে কী এক্সক্লুসিভ দেব?’
অপুর জিম করার টাকাও অনন্য মামুন দিয়েছিলেন বলে জানালেন।
তবে অপু লাইভে বলেন, ‘পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছিল- আমাকে নাকি পরিচর্যা করে এই লুকে আনা হয়েছিল। আসলে তা নয়, ওই ছবির কয়েক মাস আগে থেকে আমার চেহারায় পরিবর্তন হয়, কিছুটা মোটা হয়েছিলাম।’
কিছুদিন আগেই নির্মাতা অনন্য মামুন ফেসবুকে ইয়াসিন আরাফাত অপুর একটি নতুন লুকের ছবি পোস্ট করে বলেন, ‘কে কিভাবে নেবেন আমি জানি না, তবে মানুষের চেষ্টাকে আমি সম্মান করি। যার চেষ্টা আছে আমি তাকে সাহায্য করি। সিনিয়র বনাম জুনিয়র ওয়েব সিরিজে আপনাদের সামনে অপু ভাই আসবে আলিয়ান হয়ে (চরিত্রের নাম)। এক মাস অভিনয়ের প্রশিক্ষণ নিয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াবে অপু।’
এর পরেই দেশের সোশ্যাল মিডিয়া অনেকটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অনন্য মামুনের বক্তব্যে ক্ষিপ্ত হন থিয়েটারকর্মী ও সাধারণ সিনেমাপ্রেমীরা। অনন্য মামুনকে উদ্দেশ করে রিয়া নামের একজন বলেছেন, ‘খুবই ভালো কাজ করছেন। পচে যাওয়া ইন্ডাস্ট্রিতে পচা মালের সরবরাহ বাড়াচ্ছেন। এদিকে আসল মেধাবীরা সারা জীবন স্ট্রাগল করে যাবে এসব ছাগলের জন্য।’
এই কিশোর বলেন, ‘এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়, আমি কী করব বুঝে উঠতে পারছি না। মিডিয়ায় আমাকে আনা হয়, চার মাস বসিয়ে রাখা হয়, তারপর বলা হয় চলে যেতে। তাহলে আমাকে কেন আনা হলো? কেন এসব বলা হলো? একটা ভিডিওতে শুধু শুটিং করানো হয়েছিল, এরপর আমি নেই।’
ইয়াসিন আরাফাত অপু ওরফে অপুর বাড়ি নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে। সেখান থেকে লাইকি অ্যাপের মাধ্যমে সারা দেশের একটি প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এই কিশোর। সোশ্যাল মিডিয়া লাইকিতে রঙিন চুলে ছোট ভিডিও করে বেশ পরিচিতি লাভ করেন ‘অপু ভাই’। লাইকি অ্যাপে তাকে অনুসরণ করে প্রায় ১০ লাখ। ইনস্টাগ্রামেও তার অনুসারী ছিল। দেশের শীর্ষ নির্মাতা আদনান আল রাজীবের ওয়েব ফিল্মে অভিনয় করেন অপু।