দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ৭ জনের মৃত্যু

প্রায় ২০ মাস পর মহামারি করোনায় একদিন মৃত্যুশূন্য গেলেও পরদিন সাতজনের মৃত্যু হয়েছে ভাইরাসটিতে। এ নিয়ে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৯৫৩ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও ১৯৯ জনের শরীরে। দেশে শনাক্তের মোট সংখ্যা ১৫ লাখ ৭৪ হাজার ৮৮ জন।

রবিবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭ হাজার ১৩৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। শনাক্তের হার ১.১৬ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৯২ জন। তাদের নিয়ে দেশে করোনা থেকে মোট সুস্থ হলেন ১৫ লাখ ৩৮ হাজার ১৯৮ জন।

মারা যাওয়া সাতজনের মধ্যে ছয়জন পুরুষ এবং একজন নারী। এর মধ্যে পাঁচজন ঢাকা বিভাগের, একজন চট্টগ্রাম এবং একজন খুলনা বিভাগের।

মারা যাওয়া সাতজনের বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে রয়েছেন একজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে একজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে একজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে দুইজন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে একজন আর ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে রয়েছেন একজন।

এর আগে শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, আগের ২৪ ঘণ্টায় মহামারি করোনাভাইরাসে কারো মৃত্যু হয়নি। এর ফলে ২০ মাস পর প্রথমবারের মতো মৃত্যুশূন্য দিন দেখল বাংলাদেশ। ২০২০ সালের ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম মৃত্যু হয় দেশে। এরপর প্রতিদিনই মৃত্যুর মিছিল দেখেছে দেশবাসী।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। আর এর ১০ দিন পর প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। এরপর কয়েক মাস মৃত্যু ও শনাক্ত ঊর্ধ্বগতিতে থাকার পর গত বছরের শেষ দিকে এসে তা অনেকটা কমে যায়। চলতি বছরের প্রথম তিন মাস অনেকটা নিয়ন্ত্রণে ছিল করোনা পরিস্থিতি। তবে মার্চের শেষ দিক থেকে দেশে বাড়তে থাকে করোনার প্রকোপ। এটাকে বিশেষজ্ঞরা করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা বলে জানান।

গত এপ্রিল মাস থেকে বাড়তে থাকা করোনার প্রকোপ চরম আকার ধারণ করে জুলাইয়ে। এই মাসে এক দিনে সর্বোচ্চ ২৬৪ জন মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এছাড়া দিনে শনাক্তের সংখ্যাও ১৫ হাজার ছাড়ায়। তবে আগস্টের শেষ দিক থেকে করোনার প্রকোপ কমতে থাকে।

দেশে করোনা পরিস্থিতি মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে সংস্থাটি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর জোর দিয়েছে। যেকোনো সময় করোনা আবার জটিল আকার ধারণ করতে পারে বলেও সতর্ক করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।