ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি শীতকাল হলেও বাস্তবে নভেম্বর থেকেই হালকা শীত অনুভূত হয়। তবে উত্তরের জেলা পঞ্চগড় একটি শীত প্রবন জেলা বলে আমরা জানি। বরাবরের মতো এখানে শীতের তীব্রতা বেশি হয়ে থাকে। হিমালয় কাছাকাছি হওয়ায় নভেম্বর মাস হতে শীতের প্রকোপ শুরু হয়।
তবে এবার অক্টোবর মাসের ২য় সপ্তাহে শীতের কুয়াশা চোখে পড়ছে। আজ রোববার (৩১ অক্টোবর) সকাল নয়টায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়ের তেতুঁলিয়ায় বিরাজ করছে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গতকাল শনিবার তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি। গভীর রাত থেকে ভোর পর্যন্ত কুয়াশা পড়তে দেখা গেছে। ধীরে ধীরে শীতের আমেজ শুরু হচ্ছে এই জেলায়। সন্ধ্যা হলেই শীতের তীব্রতা এই জেলায়। অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউট
প্রতিদিনই সন্ধ্যার পর কুয়াশার সাথে ঠান্ডা বাতাস বইছে পঞ্চগড়ে। ভোর পাঁচটা থেকে কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে যায়। তখন হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাফেরা করে। কুয়াশার কারনে নদী তিরবর্তি মানুষেরা দূর্ভোগে পড়ে। তবে সূর্য উঠার সাথে সাথে কুয়াশা চলে যায়।
এদিকে দিনের তাপমাত্রাও কমতে শুরু করেছে পঞ্চগড়ে। সপ্তাহ জুড়ে ২৮ থেকে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বিরাজ করছিল পঞ্চগড় জেলায়। অক্টোবরের মাঝামাঝি তাপমাত্রা ছিল ৩৫ থেকে ৩৮ ডিগ্রিতে।
গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি। দুপুরে গরম থাকলেও সকাল এবং বিকেলে রোদের তিব্রতা কম। সদর উপজেলার হাড়িভাষা ইউনিয়নের হালুয়াপাড়া গ্রামের কৃষক লিটন সরকার জানায় গত কয়েকদিন থেকে গরমকাপড় ছাড়া সন্ধ্যার পর বাইরে বের হতে পারছিনা। আমরা গ্রামের মানুষ মনে হচ্ছে শীতকাল পড়েছে।
তেতুঁলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন এবছর অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি থেকেই শীতের আমেজ তৈরি হয়েছে। মূলত হিমালয় কাছাকাছি হওয়ায় শীতের প্রকোপ পড়তে শুরু করেছে।
মৌসুমির বায়ুর প্রভাবে ধীরে ধীরে ঠান্ডার পরিবেশ বিরাজ করতে শুরু করেছে। নভেম্বরের শুরুতে কুয়াশার পরিমান বাড়তে পারে সেই সাথে কমবে তাপমাত্রাও। মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ঠান্ডা বাতাসের কারনে রাতের বেলায় ঠান্ডা বেশি অনুভূত হচ্ছে।
উল্লেখ্য, শীত বাংলা সনের পঞ্চম ঋতু। পৌষ ও মাঘ মাস এই দুই মাস মিলে শীতকাল । শীতকাল প্রধানত শুষ্ক এবং দিনের তুলনায় রাত হয় দীর্ঘ। বাংলাদেশে শীতের সময় খেজুরের রস আর হেমন্তের নতুন চালের গুঁড়ো দিয়ে বিভিন্ন ধরনের পিঠা পায়েস খাওয়া হয় ।