সাড়ে সাত মাস পর শনাক্তের হার তিনের নিচে

সাড়ে সাত মাস (২৩১ দিন) পর দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে দৈনিক শনাক্তের হার তিনের নিচে নামল। গত এক দিনে ৬১৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়, যাতে শনাক্তের হার ২.৯০ শতাংশ।

এর আগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি শনাক্তের হার ৩ শতাংশ ছাড়ায়। সেদিন শনাক্তের হার হয় ৩.১৫ শতাংশ। তার আগেরদিন ১৪ ফেব্রুয়ারি শনাক্তের হার ছিল ২.৫৩ শতাংশ।

এদিকে গত এক দিনে করোনায় আরও ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ১১২ জন। রবিবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয় ২১ হাজার ২৪৬টি, যাতে শনাক্তের হার ২.৯০ শতাংশ। এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ১৫ লাখ ৫৭ হাজার ৯৬৪ জন, যাতে শনাক্তের মোট হার ১৫.৯১ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত এক দিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ৯ জন এবং নারী ৯ জন। এ পর্যন্ত করোনায় মোট মৃত্যু ২৭ হাজার ৫৭৩ জনের।

এদিকে গত এক দিনে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ১১২ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ১৮ হাজার ৫৫৪ জন। গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। আর এর ১০ দিন পর প্রথম মৃত্যুর খবর আসে।

এরপর কয়েক মাস মৃত্যু ও শনাক্ত ঊর্ধ্বগতিতে থাকার পর গত বছরের শেষ দিকে এসে তা অনেকটা কমে যায়। চলতি বছরের প্রথম তিন মাস অনেকটা নিয়ন্ত্রণে ছিল করোনা পরিস্থিতি। তবে মার্চের শেষ দিক থেকে দেশে বাড়তে থাকে করোনার প্রকোপ। এটাকে বিশেষজ্ঞরা করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা বলে জানান।

গত এপ্রিল মাস থেকে বাড়তে থাকা করোনার প্রকোপ চরম আকার ধারণ করে জুলাইয়ে। এই মাসে এক দিনে সর্বোচ্চ ২৬৪ জন মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এছাড়া দিনে শনাক্তের সংখ্যাও ১৫ হাজার ছাড়ায়। তবে আগস্টের শেষ দিক থেকে করোনার প্রকোপ কমতে থাকে। সেপ্টেম্বর মাস পুরোটা জুড়েই করোনার প্রকোপ নিম্নমুখী রয়েছে।

এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে করোনা শনাক্তের হার পাঁচ শতাংশের নিচে রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, টানা কয়েক সপ্তাহ শনাক্তের হার পাঁচ শতাংশের নিচে থাকলে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলা যাবে।