আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল ছেড়েছে শেষ এয়ার ইন্ডিয়া বিমান। এর আগে আফগানিস্তানে তুমুল উত্তেজনার মধ্যে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি কাবুলে অবতরণ করে।
ভারতের সংবাদ সংস্থার খবর অনুসারে, রোববার তালেবান বাহিনী কাবুলে ঢুকতে শুরু করলে সেখানে অবস্থান করা নাগরিকদের দ্রুত দেশে ফেরানোর উদ্যোগ নেয় ভারত। হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, দুপুর শুরু হওয়া একটু পরেই এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি কাবুলে আটকে পড়া কর্মীদের আনতে যায়।
ভারত থেকে আফগানিস্তানে পৌঁছাতে সময় লাগে ২ ঘণ্টা ২০ মিনিট। কিন্তু আফগানিস্তানে পৌঁছালেও বিমানটি অবতরণের অনুমতি পায় না। কারণ ততক্ষণ তালেবান যোদ্ধারা কাবুলে ঢুকতে শুরু করেছে।
ভারতের বিমানটি প্রায় একঘণ্টা আকাশে উঁড়তে থাকে। পাইলট প্লেনের রাডার অফ করে দেন যাতে এটি শনাক্ত করে কেউ হামলা চালাতে না পারে। দীর্ঘ এক ঘণ্টা পর চাপা উত্তেজনার মধ্যে বিমানটি কাবুল বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
ভারতের গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে, নয়া দিল্লি থেকে কাবুল পর্যন্ত সপ্তাহে তিন বার বিমান চলাচল করত। আফগানিস্তানে তালেবানের রাজ শুরু হতেই দু’দেশের মধ্যে বিমান উড্ডয়ন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। রোববার সকালেও দিল্লি কাবুলে একটি চার্টার বিমান সেবা বাতিল করা হয়েছে।
আফগানিস্তানে তালেবান সরকার গঠন করলে সেই সরকারকে বৈধতা নিয়ে চাপে রয়েছে নয়া দিল্লি। ভারত বলছে, শক্তি প্রয়োগ করে ক্ষমতা দখল করলে তারা তালেবানকে স্বীকৃতি দেবে না।
কিন্তু তালেবান নিয়ে এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইরান মুখ খুলছে না। অন্যদিকে রাশিয়া-চীন-পাকিস্তানের তালেবানকে প্রচ্ছন্ন সমর্থন দিচ্ছে। এ কারণে কাবুল-নীতি নিয়ে মহাচিন্তায় রয়েছে ভারত।শিগগিরই কাতারের রাজধানী দোহাতে ভারতের প্রতিনিধিদের সঙ্গে তালেবান নেতৃত্বের সংলাপ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রাজনীতি বিশ্লেষকদের একাংশের মত, এই সংলাপের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে।