গৃহবধূর সাথে অ’বৈধ মেলামেশায় ধরা মসজিদের ইমাম, রাতভর গাছে বেঁ’ধে রাখল গ্রামবাসী

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভবানীপুর (ভাটোপাড়া) গ্রামে এলাকাবাসী এক ইমাম (২৮) ও গ্রামের এক গৃহবধূকে আ’টক করেছে। তাদের দাবি, ইমামকে ওই গৃহবধূর সঙ্গে গভীর রাতে পাওয়া যায়। গ্রামবাসীর দুজনকে সারা রাত সড়কের পাশে বিদ্যুতের খুঁটিতে দড়ি দিয়ে একসঙ্গে বেঁধে রাখে।

এ নিয়ে গ্রামের কিছু সচেতন মানুষ প্রতি;বাদ করলে সকালে তাদের বাঁধন খুলে দেওয়া হয়। তবে দুইজনকেই এলাকাবাসী তাদের হেফাজতে আট;ক রেখেছে।

গতকাল রবিবার (২৫ জুলাই) দিবাগত রাত একটার দিকে পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভবানীপুর (ভাটোপাড়া) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আ;টক যুবক ওই গ্রামের ;মসজিদের ইমাম ও নারী মসজিদের পা;শের এক আনসার সদস্যের স্ত্রী ও দুই সন্তানের জননী।

জানা যায়, অবিবাহিত যুবক রকিবুল হোসেনের বাড়ি পার্শ্ববর্তী চাটমোহর উপজেলার পার্শ্বডাঙ্গা গ্রামে। সে ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর উপজেলার একাধিক মসজিদে ইমামতি করেছেন। এর আগে তিনি ফরিদপুর উপজেলার বিএলবাড়ি গ্রামের একটি মসজিদে থাকাকালীন সময়ে একই অভিযোগে চাকরি হারান।

পরে ভাঙ্গুড়া উপজেলার ভবানীপুর গ্রামে এসে যোগদান করেন। এরপর তিনি মসজিদের পাশের এক গৃহবধূর সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে তোলেন। ওই গৃহবধূর স্বামী একজন আনসার সদস্য ও ঢাকায় চাকরি করেন।

এমতাবস্থায় রাকিব রবিবার রাতে ওই নারীর ঘরে প্রবেশ করলে একজন প্রতিবেশী টের পায়। তখন ওই ব্যক্তি পাড়ার অন্যান্য মানুষকে ডেকে গৃহবধূর বাড়িতে প্রবেশ করে তাদের দুজনকে আটক করে সড়কের পাশের একটি গাছের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখে।

সকালে সেখানে গ্রামবাসীর জড়ো হলে অনেকেই ওই গৃহবধূকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখার প্রতিবাদ করেন। এতে তাদের দড়ির বাঁধন খুলে দিয়ে গৃহবধূকে এক বাড়িতে এবং ইমামকে মসজিদের ওজুখানায় আট;কে রাখা হয়।

এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভবানীপুর গ্রামের ইউপি সদস্য আবদুল মাজেদ বলেন, এলাকার মানুষ অবৈধ মেলামেশার সময় মসজিদের ইমাম ও এক গৃহবধূকে আটক করে গাছে বেঁধে রেখেছিল। পরে আমি সহ গ্রাম প্রধানরা ঘটনাস্থলে এসে তাদের বাঁধন ছেড়ে দিয়ে একটি বাড়িতে আটকে রাখি। পুলিশকে খবর দেয়া হয়েছে। এখন চেয়ারম্যান ও পুলিশ এসে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন।

ভবানীপুর গ্রামের বাসিন্দা ও সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক সোমবার সকাল সাড়ে নয়টার সময় বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি আইনি ব্যবস্থার প্রক্রিয়া করব।

এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়সাল বিন আহসান বলেন, ঘটনাটি শুনে একজন অফিসার পাঠানো হয়েছে। অফিসার ফিরলে এর বিস্তারিত জানা যাবে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অ;ভিযোগ পাইনি।