হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন মা-ছেলে

আরবের সুমহান সংস্কারক মুহাম্ম’দ (সা.) যে প্রথা-প’দ্ধতি প্রতিষ্ঠা করেছেন, একাধিক দৃ’ষ্টিকোণ থেকে তা গভীরভাবে অধ্যয়ন করা অর্থবহ। এটা এক বিস্ময়কর ঘটনা যে বিশ্বের খ্রি’ষ্টানদের অন্যতম শক্তি আধুনিক যুগের মুসলমানদেরও সবচেয়ে বড় শক্তি হওয়া উচিত। এটি এমন সহনশীলতার সাক্ষ্য দেয়, যা মধ্য’যুগীয় খ্রি’ষ্টবাদে অ’সম্ভব ছিল

নতুন খবর হচ্ছে, কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বাবলী রাণী দাস ও তার একমাত্র পুত্র সন্তান বাঁধন ঘোষ হিন্দু ধর্ম ‘ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। বাবলী রাণী দাস উপজেলার হেসাখাল ইউনিয়নের হেসাখাল দক্ষিণ দায়েমছাতির মৃ’ত হরি মোহন দাস ও জোসনা রাণী দাসের দ্বিতীয় মেয়ে।

সম্প্রতি কুমিল্লা বিজ্ঞ নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে এফিডেভিটের মাধ্যমে মা ও ছেলে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। বাবলী রাণী দাসের পরিবর্তিত নাম ফাতেমা আক্তার ও ছেলে বাঁধন ঘোষের নাম রাখা হয়েছে মো. নুরুন্নবী। মা ও ছেলে বর্তমানে পার্শ্ববর্তী লাকসামের একটি আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাস করছে।

নওমুসলিম ফাতেমা আক্তার বলেছেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে মুসলমানের সংস্পর্শে এসে ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে জানতে পারি। এ ছাড়া বিভিন্ন গ্রন্থ পড়ে ও ইসলামিক স্কলারদের ওয়াজ শুনে বুঝতে পারি, ইসলাম পৃথিবীর একমাত্র শান্তির ধর্ম।

আমি অনুধাবন করতে পেরেছি, একমাত্র ইসলামই সেরা ধর্ম, যা পরকালে মুক্তির সন্ধান দিতে পারে। আমি সাবালিকা বিধায় বুঝে-শুনে আমি এবং আমা’র একমাত্র সন্তান বিজ্ঞ আলেমের নিকট গিয়ে হিন্দু ধর্ম ‘ত্যাগ করে কালেমা পড়ে মহাপবিত্র ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করি।’

ধর্মান্তরিত হওয়ায় স্বামীর সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ইসলাম ধর্ম গ্রহণে কেউ আমাকে প্ররোচিত করেনি। আমি বাকি জীবন আল্লাহর রাস্তায় নিজেকে বিলিয়ে দিতে চাই। এজন্য সকলের দোয়া চাই।সুত্র- ঢাকা নিউজ