অনেক আদর-যত্নে একটি ছাগল লালন-পালন করছিল স্কুলছাত্র সজিব মিয়া। ছাগলটির নাম রাখা হয়েছে ‘টুকু’। আর এ টুকুই ছিল সজিবের চলার একমাত্র স’ঙ্গী। কিন্তু গভীর রাতে আদরের ছাগলটি চু’রি হয়ে যায়। টুকুর সঙ্গে আরো একটি গরুও নিয়ে যায় ‘চো’র।
এরপর ‘চু’রি হওয়া গরু-ছাগলকে হ’ন্যে হয়ে খুঁজতে থাকেন সবাই। তবে বেশিক্ষণ খুঁজতে হয়নি। স’ন্দে’হভা’জন চো’রে’র বাড়ির সামনে গিয়ে টুকু… বলে ডাক দিতেই সাড়া মেলে ‘ব্যাএএএ…’। পরে ওই বাড়িতে টুকুকে পাওয়া যায়। সঙ্গে গ’রুটিরও স’ন্ধা’ন মেলে। বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার চণ্ডিপাশা ইউনিয়নের খামারগাঁও গাতিপাড়ায়।
এ ঘটনায় স্থানীয়রা অ’ভিযু’ক্ত রায়হান ও বজুলুর রহমান নামের একজনকে ধরে ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে বেঁ’ধে রাখে। শুক্রবার বিকেলে বিষয়টি মী’মাং’সার জন্য সালিশ বসানোর কথা ছিল। তবে এর আগেই উ’দ্ধা’র হওয়া গরু-
ছাগল ও আ’ট’কদের থা’নায় নিয়ে যায় পুলিশ। চু’রি যাওয়া গরু-ছাগলের মালিক খামারগাঁও এলাকার আব্দুল মান্নান মনু মিয়া। স্কুলছাত্র সজিব তার ছেলে। বৃহস্পতিবার রাতে তাদের গোয়াল ঘর থেকে গরু ও ছাগলটি চু’রি হয়।
স্থানীয়রা জানায়, ছাগল ও গরু চু’রি হওয়ার পর সবাই মিলে খুঁজতে থাকেন। সন্দে’হভাজন রায়হানের বাড়ির দিকে যান তারা। এ সময় পথেই তাকে কা’দা মা’খা দেখা যায়। পরে তাকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সজিবের বাবা। একপর্যায়ে চু’রি’র কথা স্বীকার করে গরু-ছাগল পাশের আব্দুল আলী ওরফে পিএলের বাড়িতে রেখেছেন বলে জানান
তিনি। তবে সেখানে গরু-ছাগলের স’ন্ধা’ন না মেলায় টুকু… বলে ডাক দেয় স্কুলছাত্র সজিব। সঙ্গে সঙ্গে ছাগলটি সাড়া দেয়। ইউপি সদস্য হারুন অর রশিদ জানান, অ’ভিযু’ক্ত রায়হান একটু হাবাগোবা। এছাড়া বিষয়টি নিয়ে তদ’ন্ত করতেই পরিষদে রেখেছিলাম। জনপ্রতিনিধি হিসেবে এ সামান্য বি’চার তো আমি করতেই পারি।
নান্দাইল থানার ওসি মিজানুর রহমান আক’ন্দ জানান, অভি’যুক্ত রায়হানসহ আরো একজনকে আ’টক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।